Uttar Dinajpur: তোলাবাজিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের চেয়ারম্যান! দাবি ভাইস চেয়ারম্যানের

উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কী হয়েছে জানেন?
Untitled_design_(78)
Untitled_design_(78)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে চলে এল। সরাসরি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করলেন ভাইস চেয়ারম্যান। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার ডালখোলা পুরসভা এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইস চেয়ারম্যান ঠিক কী অভিযোগ করেছেন? (Uttar Dinajpur)

উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার ডালখোলা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ ফিরোজ আহমেদ বলেন, দীর্ঘ আট মাস থেকে চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথাবার্তা নেই। কোনও কথা বললে শোনেন না। কাজের ব্যাপারে বলতে গেলে উল্টে ঝেড়ে দেন। রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে আছে। অন্যান্য কাউন্সিলরদের কাছ থেকে সব কাজের জন্য ১৫ শতাংশ টাকা করে তিনি নেন। নিজের ইচ্ছেমতো পুরসভা চালাচ্ছেন। হিসাব চাইলে দেন না। সব টাকা নিজের কাছেই রেখে দেন। স্থানীয় ঠিকাদারদের কাজ দেন না। কাটমানি নিয়ে বাইরের ঠিকাদারদের কাজ দেন। আমি প্রতিবাদ করি বলে আমার ওয়ার্ডে কোনও কাজ হচ্ছে না। সমস্ত ঘটনা বিধায়ককে জানিয়েছি। আমাদেরকে নিয়ে বসার সময় নেই বিধায়কের কাছে। দলের শহর সভাপতিকেও জানিয়েছি। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ভোটে এর প্রভাব পড়বে।

পুরসভার চেয়ারম্যান কী সাফাই দিলেন?

পুরসভার চেয়ারম্যান স্বদেশ চন্দ্র সরকার বলেন, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। সবই ভাইস চেয়ারম্যানের মনগড়া কথা। তিনি পুরসভার কাজ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। পুরসভা কাজ করছে, কি করছে না তা ডালখোলার মানুষ বলবে। তিনি বঞ্চিত আছেন, কি নেই তা তিনি বলতে পারবেন। ১৬ জন কাউন্সিলরদের নিয়ে চলতে হয়। বোর্ড মিটিং এ সই আছে সবার। এখন এ সমস্ত কথা বলে লাভ নেই। আইনে যেটা বলা আছে, বিওসি করে বোর্ড মিটিং-এ সব সিদ্ধান্ত নিয়েই কাজ করি। কারও ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া থাকলে তা আমার জানার বিষয় নয়। এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপারই নেই।

ভাইস চেয়ারম্যানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব

এ বিষয়ে ডালখোলা শহর তৃণমূল সভাপতি গোপাল রায় বলেন, এগুলো সব ভিত্তিহীন কথা। পুরসভা স্বচ্ছ ভাবেই চলছে। সবাইকে সমানভাবেই দেখা হয়। যেটা অভিযোগ হয়েছে তা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। একটি টেন্ডারের কাজের টাকা পাবেন ভাইস চেয়ারম্যানের পরিচিত একজন ঠিকাদার। কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু টাকা পাবে। এই কারণেই এই সমস্যা চলছে। জেলা সভাপতিকে সমস্তটা জানানো হয়েছে। বিধায়কের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা বিষয়টি বসে মিটিয়ে নেব।

বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

বিজেপির জেলা সহ সভাপতি সুভাষ গোস্বামী বলেন, এটা হওয়ারই ছিল। নতুন কিছু নয়। এরা কাজ করতে এসেছে নাকি, এরা চুরি করতে, লুঠ করতে এসেছে। উন্নয়ন পুরোপুরি বন্ধ। টেবিলে বসে টাকা গোনা হয়। সব ভাগাভাগি চলছে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles