Patanjali Case: আয়ুষ না অ্যালোপ্যাথি, পছন্দ হওয়া উচিত ব্যক্তিগত, পতঞ্জলি মামলায় জানাল কেন্দ্র

পতঞ্জলি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কী জানাল কেন্দ্র, জানেন?...
1616066711_supreme-court-4
1616066711_supreme-court-4

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুষ না অ্যালোপ্যাথি কোন পদ্ধতিতে কেউ চিকিৎসা করাবেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ। এবং কোনও একটি পদ্ধতিকে নিরুৎসাহ করাও উচিত নয়। পতঞ্জলি মামলায় (Patanjali Case) বুধবার সুপ্রিম কোর্টে এমনই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। যোগগুরু রামদেবের পতঞ্জলি আর্য়ুবেদ সংস্থার বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা বিজ্ঞাপনী মামলা চলছে দেশের শীর্ষ আদালতে। এই মামলায় আগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য ছিল, “সরকার চোখ বন্ধ করে বসে রয়েছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।” এর পরেই এদিন আদালতে ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়টি জানাল কেন্দ্র।

কেন্দ্রের হলফনামা (Patanjali Case)

সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, কোনও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্যের। তবে কেন্দ্রীয় সরকার আইন অনুযায়ী সময়মতো ব্যবস্থা নিয়েছে। আয়ুষ মন্ত্রকের তরফে সংশ্লিষ্ট সংস্থাটিকে বলা হয়েছিল, পরীক্ষা না করা পর্যন্ত এই জাতীয় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা যাবে না। বিষয়টি (Patanjali Case) জানানো হয়েছিল রাজ্য লাইসেন্স কর্তৃপক্ষকেও। বলা হয়েছিল, ‘করোনিল’ ট্যাবলেট কোভিড ১৯ সহায়ক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। করোনা নিরাময়ের জন্য মিথ্যা দাবিগুলির বিরুদ্ধে সক্রিয় পদক্ষেপও করেছে কেন্দ্র।

‘করোনিল কিট’

২০২০ সালের ২৩ জুন বাজারে ‘করোনিল কিট’ নিয়ে আসে রামদেবের সংস্থা। কিটে ছিল ‘করোনিল’ ও ‘শ্বাসারি’ বটি নামে দু’প্রকার ট্যাবলেট এবং ‘অণু তৈল’ নামের এক শিশি তেল। কিটের দাম ছিল ৫৪৫ টাকা। সংস্থার দাবি, সব মিলিয়ে ২৩ লক্ষ ৫৪ হাজার করোনিল কিট বিক্রি করেছে পতঞ্জলি। এই করোনিল নিয়েই বিজ্ঞাপন দিয়েছিল রামদেবের সংস্থা। তার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। তাদের অভিযোগ ছিল, পতঞ্জলির বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা ও চিকিৎসককে অসম্মান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও ওঠে।

আরও পড়ুুন: বাংলার জামাইকে প্রার্থী করে আসানসোলে কিস্তিমাত পদ্মের, বিপাকে ঘাসফুল

এতেই চাপে পড়ে যান যোগগুরু। সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। হলফনামা দিয়ে তাঁকে নিঃশর্ত ক্ষমাও চাইতে হয়েছে শীর্ষ আদালতে। ক্ষমা চাইতে হয়েছে পতঞ্জলির এমডি আচার্য বালকৃষ্ণকেও। এই জাতীয় ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না বলেও আদালতে জানিয়েছিলেন রামদেব ও তাঁর সহযোগী বালকৃষ্ণ (Patanjali Case)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles