মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছর যোগানের অভাবে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি চিন্তায় ফেলে মধ্যবিত্তদের। তবে এই বছর থেকে কেন্দ্র সরকারের নতুন নীতির জন্য আর পেঁয়াজের মূল্যস্ফীতি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না দেশের মানুষকে। জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে অর্থাৎ ২০২২-২৩ এ পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার আগে থাকতেই ২.৫ লাখ টন পেঁয়াজের মজুদ বা বাফার স্টক তৈরি করছে। উৎসবের সময় বা বাজারে যখন পেঁয়াজের পর্যাপ্ত যোগান থাকবে না তখন এই মজুদ থেকে পেঁয়াজ ছাড়বে কেন্দ্র সরকার। এত বেশি পরিমাণ পেঁয়াজের মজুদ এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। ২০২১-২২ সালে দুলাখ টন পেঁয়াজ মজুত করা হয়েছিল। এবছর তার পরিমাণ বাড়ল বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়।
বিশেষ করে বছরের আগস্ট মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ খুব কম পরিমাণে উৎপন্ন হয় । তাই সেইসময় বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতির কারণে দাম হঠাতই খুব বেড়ে যায়। উৎসবের সময় বিশেষ করে পিঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়। এই নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে সমস্যা চলছিল। এবার কেন্দ্র সরকারের নতুন পদক্ষেপ অনুযায়ী তারা ২.৫ লাখ টন পেঁয়াজ মজুদ করে রেখেছে। মূল্যবৃদ্ধি ৭ শতাংশের বেশি হলেই সরকার মজুদ থেকে পেঁয়াজ ছাড়বে।
আরও পড়ুন: আহমেদ প্যাটেলের নির্দেশেই মোদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন তিস্তা! দাবি সিটের
এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তারা গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশের মতো বৃহৎ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্যগুলির কৃষকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করবে। দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনের ৬৫ শতাংশ এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে বপন করা হয় এবং অক্টোবর মাসে কাটা হয়। এরপরে কৃষকদের থেকে পিঁয়াজ কিনে সরকার তা মজুদ করবে। তাহলে বর্ষার দিনেও আর কখনো দেশে পেঁয়াজের অভাব হবে না। এছাড়াও এক আধিকারিকের কথায়, “মজুদ পেঁয়াজ এই সমস্ত শহরে পাঠানো হবে যেখানে আগের মাসের তুলনায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী আগস্ট মাস থেকে এই কাজ শুরু হয়ে যাবে।”
+ There are no comments
Add yours