Cattle smuggling case: কয়েক হাজার টাকা মাসমাইনেতে কীভাবে রাইস মিলের মালিক? অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

সুকন্যা মণ্ডলের বয়ান রেকর্ড করতে সকালেই পৌঁছয় সিবিআই টিম। এক ঘণ্টা ১০ মিনিট ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ।
sukanya-anubrata
sukanya-anubrata

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সিবিআই (CBI) হানা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandol) বাড়িতে। শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বোলপুরের (Bolpur) নীচুপট্টি এলাকায় বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির বাড়িতে হাজির হয়। কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে খবর, এক ঘণ্টা ১০ মিনিট ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। সুকন্যা মণ্ডলের বয়ান রেকর্ড করতে এদিন সকালেই পৌঁছয় সিবিআই টিম। কয়েক হাজার টাকা মাসমাইনেতে কীভাবে রাইস মিলের মালিক? প্রশ্নের উত্তর পেতে সুকন্যার বয়ান রেকর্ডের উদ্যোগ সিবিআইয়ের। সিবিআই দলে রয়েছেন বেশ কয়েকজন মহিলা অফিসার।  তাঁদের নিয়েই চলে কথোপকথন।

অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতেই বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) কার্যালয়। সেখানে বসেই যাবতীয় কাজকর্ম করতেন কেষ্ট। সেখানেই এদিন সিবিআই আধিকারিকরা চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছেন। অনুব্রত গ্রেফতারের পর থেকে বন্ধ ছিল এই ঘরটি। শুক্রবার তালা খুলে ঢুকতে হয় সিবিআই আধিকারিকদের। সকাল ১১টা নাগাদ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে সোজা পৌঁছে যান অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে। সিবিআই আধিকারিকদের হাতে ছিল একটি খাম। যা দেখে অনুমান করা হয়, সুকন্যাকে নোটিস ধরিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

উল্লেখ্য, গত ১৭ অগাস্ট সুকন্যাকে জেরা করতে চেয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু মানসিক অসুস্থতার অজুহাতে সেদিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে এড়িয়ে গিয়েছিলেন কেষ্ট-কন্যা। তাই এবার যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া সেরেই সিবিআই আধিকারিকরা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের পর একাধিক বেনামি সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। সেই সূত্র ধরেই বিগত কয়েক দিন বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় সিবিআই। গোয়েন্দাদের অনুমান, দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক সম্পত্তি মেয়ে সুকন্যার নামে রয়েছে। তাই দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে চান তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, গতকালই অসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তার ঠিক পরেই সুকন্যাকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। সিবিআই সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গলকে জেরা করে যে সব তথ্য হাতে এসেছে, তার ভিত্তিতেই সুকন্যাকে জেরা করে সিবিআই।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles