মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোম-সন্ধ্যায় লাগু হয়েছে সিএএ (CAA)। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চালু করে দিল এ সংক্রান্ত ওয়েব পোর্টাল। যাঁরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে অনলাইনের দ্বারস্থ হবেন, তাঁদের জন্যই এই ব্যবস্থা। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁদের জন্য ‘সিএএ-২০১৯’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপও কেন্দ্র চালু করবে বলে খবর।
সিএএ (CAA)
২০১৯ সালে সংসদে পাশ হয় সিএএ বিল। পরে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মেলায় বিলটি পরিণত হয় আইনে। তবে বিরোধীদের অপপ্রচারের জেরে সিএএর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয় বলে অভিযোগ। প্রায় সাড়ে চার বছর পরে সোমবার দেশজুড়ে লাগু হয় সিএএ আইন। এই আইন বলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত যেসব শরণার্থী (হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান) এদেশে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব (CAA) দেওয়া হবে। এই আইন তাঁদের সাংস্কৃতিক, লিঙ্গুইস্টিক এবং সোশ্যাল আইডেন্টিটি রক্ষা করবে। এটা তাঁদের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, মুক্তভাবে চলাচল করা এবং সম্পত্তি কেনার অধিকারও দেবে।
কী কী নথি প্রয়োজন (CAA)
প্রথমেই নথি পেশ করতে হবে যা প্রমাণ করবে যে আবেদনকারী বাংলাদেশ, আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত
- বাংলাদেশ বা আফগানিস্তান কিংবা পাকিস্তান সরকারের দেওয়া পাসপোর্ট।
- ভারতের ফরেনার্স রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার কিংবা ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিসারের দেওয়া রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা রেসিডেন্সিয়াল পারমিট।
- আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান সরকারের দেওয়া জন্মের শংসাপত্র।
- আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের কোনও স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র।
- আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের সরকার বা এই তিন দেশের কোনও সরকারি সংস্থার ইস্যু করা যে কোনও ধরনের পরিচয়পত্রের নথি।
- আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের সরকারি কোনও সংস্থার দেওয়া যে কোনও লাইসেন্স কিংবা সার্টিফিকেট।
- আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের জমি কিংবা ভাড়ায় থাকলে তার রেকর্ড।
- আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান সরকারের দেওয়া কোনও নথি যা প্রমাণ করে যে আবেদনকারীর বাবা-মা বা পিতামহ কিংবা প্রপিতামহ এই তিন দেশের কোনও একটির নাগরিক ছিলেন।
- বাংলাদেশ বা আফগানিস্তান কিংবা পাকিস্তানের সরকারি কর্তৃপক্ষ কিংবা সংস্থার দেওয়া কোনও নথি যা প্রমাণ করবে যে আবেদনকারী এই তিন দেশের কোনও একটি থেকে এসেছেন।
আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটে বাংলায় একক বৃহত্তম দল হবে বিজেপি, ভবিষ্যদ্বাণী পিকে-র
এ ছাড়াও আরও কিছু তথ্য লাগবে, যা প্রমাণ করবে আবেদনকারী ভারতে এসেছেন ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে (CAA)। এগুলি হল—
- ভারতে আসার ভিসা এবং ইমিগ্রেশন স্ট্যাম্পের কপি।
- রেজিস্ট্রশন সার্টিফিকেট বা রেসিডেন্সিয়াল পারমিট যেটা ইস্যু করেছেন ভারতের ফরেনার্স রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার কিংবা ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিসার।
- জনগণনার সময় ভারতে যে স্লিপ দেওয়া হয়েছিল।
- সরকারের ইস্যু করা কোনও লাইসেন্স বা সার্টিফিকেট বা পারমিট (ড্রাইভিং লাইসেন্স, আধার কার্ড ইত্যাদি)।
- আবেদনকারীর ভারতীয় রেশন কার্ড।
- অফিসিয়াল স্ট্যাম্প-সহ কোনও চিঠি যা ভারত সরকার কিংবা আদালত আবেদনকারীকে দিয়েছে।
- আবেদনকারীর ভারতে জন্মের শংসাপত্র।
- ভারতে আবেদনকারীর নামে থাকা জমি বা ভাড়ায় থাকলে তার রেকর্ড।
- তারিখ-সহ প্যানকার্ড ইস্যুর নথি।
- অন্য কোনও নথি, যা কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা রাজ্য সরকারের দেওয়া।
- কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার বা ব্যাঙ্ক কিংবা অন্য কোনও পাবলিক অথরিটির দেওয়া নথি।
- গ্রাম কিংবা শহরের কোনও নির্বাচিত সদস্য বা রেভিনিউ অফিসারের দেওয়া সার্টিফিকেট।
- আবেদনকারীর নামে ব্যাঙ্ক কিংবা পোস্ট অফিসের রেকর্ড এবং অ্যাকাউন্টের ডিটেইলস।
- আবেদনকারীর নামে ভারতে থাকা কোনও ইন্স্যুরেন্স পলিসির নথি।
- আবেদনকারীর নামে বিদ্যুৎ সংযোগের কাগজ কিংবা বিদ্যুতের বিল।
- আবেদনকারীর কোর্ট কিংবা ট্রাইব্যুনাল রেকর্ডের নথি।
- আবেদনকারী চাকরি করলে তার নথি বা প্রভিডেন্ট ফান্ড বা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পেনশনের কাগজ।
- স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশনের নথি।
- আবেদনকারীর ভারতীয় কোনও স্কুল পরিত্যাগের নথি।
- ভারতের কোনও স্কুল বা কলেজ বা বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি কোনও প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট।
- আবেদনকারীর মিউনিসিপ্যালিটি ট্রেড লাইসেন্স।
- বিয়ের শংসাপত্র।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours