মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে ক্ষমতার আসার পরপরই নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) শুরু করেন ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচি। ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচিতে অনলাইনে লেনদেন এতটাই জনপ্রিয় হয় যে জি২০ সম্মেলনে ভারতে এসে জার্মানির মন্ত্রীও মোদির (Narendra Modi) ভূয়সী প্রশংসা করেন। এবার দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বসতে চলেছে মোবাইল টাওয়ার। মোদি সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে ইন্টারনেট পরিষেবা ঠিকঠাক মতো মিলবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির ভরপুর সুবিধা দেশের কোনায় কোনায় পৌঁছানো আরও সহজ হবে। প্রসঙ্গত, দেশের কোনায় কোনায় মোবাইল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ পোর্টালও চালু করেছে মোদি সরকার। 'গতিশক্তি সঞ্চার' নামে ওই পোর্টালের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ভাবে মোবাইল টাওয়ার বসানোর অনুমোদন দেওয়া হয়।
উদ্যোগী খোদ প্রধানমন্ত্রী
খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবারই পিএম-প্রগতি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই গ্রামাঞ্চলে মোবাইল টাওয়ার বসতে দেরি কেন হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী। আধিকারিকরা তখন জমি সমস্যার কথা তুলে ধরেন। জানা গিয়েছে, এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বাঁধ প্রকল্পেরও তুলনা টানেন এবং বলেন, ‘‘বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে অনেকেই জমি দিতে চান না। বাধা সৃষ্টি করেন। তবে মোবাইল টাওয়ার বসানোর ক্ষেত্রে এমন বাধা থাকে না।’’ তাহলে এত দেরি হচ্ছে কেন? এ নিয়ে আধিকারিকদের জবাবও তলব করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গ বাঁধ ও সেচব্যবস্থা
এর পাশাপাশি ওই বৈঠকে বাঁধ ও সেচব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার সময় মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খন্ডে সেই সংক্রান্ত প্রকল্পগুলির বিষয়ে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। জলসম্পদ মন্ত্রকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয়ে রেখেই প্রকল্পগুলিকে শেষ করতে হবে।’’ বাঁধ নির্মাণের সঙ্গে খাল কাটার উপর জোর দেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেচ প্রকল্পের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী এদিন পরামর্শ দেন যে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে পুনর্বাসন দিতে হবে এবং প্রকল্পের জন্য যাদের জমি যাচ্ছে তাঁদের সেই এলাকাও দেখাতে হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours