Cervical Cancer: সারভাইক্যাল ক্যান্সার রুখতে কিশোরীদের টিকা, নির্মলার এই ঘোষণা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

Interim Budget 2024: বাজেটে সারভাইক্যাল ক্যান্সারের টিকা নিয়ে নির্মলার ঘোষণায় খুশি বিশেষজ্ঞরা...
parliament_-_2024-02-02T101248851
parliament_-_2024-02-02T101248851

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে সারভাইক্যাল ক্যান্সার  (Cervical Cancer) প্রতিরোধে উদ্যোগী কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় এমনটাই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেছেন, ‘‘সারভাইক্যাল ক্যান্সার  প্রতিরোধের জন্য ৯ থেকে ১৪ বছরের কিশোরীদের টিকা দেওয়া হবে।’’ তাঁর এই ঘোষণায় খুশি চিকিৎসক মহল। এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থাও। কিন্তু কেন এই উদ্যোগ? দেশে জরায়ু-মুখের ক্যান্সার বা সারভাইক্যাল ক্যান্সার একটা চিন্তার কারণ। মেয়েরা সবচেয়ে বেশি এই রোগের শিকার হন। তাই এর প্রতিরোধে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ।

সারভাইক্যাল ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা

দেশের নারীশক্তির উন্নয়নের জন্য বাজেটে অর্থমন্ত্রী একাধিক ঘোষণা করেন। তার মধ্যেই সারভাইক্যাল ক্যান্সারের  (Cervical Cancer) কথা উল্লেখ করেন নির্মলা সীতারামন। টিকা নিলে এই বিশেষ ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই ঠেকানো সম্ভব। মেয়েদের ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সে সেই টিকা দিলে সবচেয়ে ভাল কাজ হয়। বাজেটে নির্মলা বলেন, সারভাইক্যাল ক্যান্সারের টিকাকরণে উৎসাহ দেবে কেন্দ্র। তবে কীভাবে সেই উৎসাহ দেওয়া হবে, কত টাকা বরাদ্দ করা হবে, সে নিয়ে এখনই কিছু বলা হয়নি। পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশের সময় এ নিয়ে ঘোষণা করা হতে পারে। 

কী বলছেন চিকিৎসকরা

এই ঘোষণায় খুশি বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকদের মতে, এটি নিঃসন্দেহে ভাল উদ্যোগ। এরকম একটি পদক্ষেপ খুব জরুরি ছিল। কারণ তরুণীদের মধ্য়ে সারভাইক্যাল ক্যান্সারের (Cervical Cancer) সংখ্যা বাড়ছে। তাঁদের কথায়, একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই টিকা খুবই কার্যকরী। সারভাইক্যাল ক্যান্সারের প্রতিরোধে এটি খুব উপকারী টিকা। এই টিকা প্রাথমিকভাবে রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। সারভাইক্যাল ক্যান্সার এইচপিভি ভাইরাসের জন্য হয়। টিকাটি নিলে ভাইরাস সংক্রমণের হার অনেকটাই কমে যায়। বয়ঃসন্ধিক্ষণের সময় এই টিকা দেওয়া হলে তা সবচেয়ে কার্যকরী হয়। এই সময় দুটো ডোজ নিতে হয়।

সারভাইক্যাল ক্যানসারের টিকা কেন জরুরি

ভারতে মহিলাদের যে ধরনের ক্যান্সার (Cervical Cancer) বেশি হয়, তার মধ্যে এই জরায়ু-মুখের ক্যান্সার দ্বিতীয় স্থানে। দেশে প্রতি বছর অন্তত এক লক্ষ ২০ হাজার মহিলা এই রোগে আক্রান্ত হন। বছরে কমপক্ষে ৭৭ হাজার মহিলার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা বলেন, অল্প বয়সেই টিকা দিলে এই ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমানো যায়। সেই কারণেই টিকা কর্মসূচি শুরু করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। আগেই স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছিল, তিন বছরের জন্য তিন দফায় এই কর্মসূচি চালানো হবে। অন্তত সাত কোটি টিকার জোগাড় হলেই কর্মসূচি শুরু হবে। বিভিন্ন সমীক্ষা অনুযায়ী প্রায় ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে এই ক্যানসার হয়। এই ভাইরাসকে আটকানোর টিকা নিলে এবং প্রতিরোধবিধি সম্পর্কে সচেতন থাকলে এই রোগটিকে নির্মূলও করা যায়। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles