মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে ফের বসছে বিরোধী জোটের বৈঠক (Opposition Party Meet)। থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরোধী জোটের বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠক নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শ্লেষাত্মক বাক্যে তিনি বলেন, ‘ক’দিন আগে বিরোধী জোটের বৈঠক ঘিরে পাটনায় পিকনিক হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে হবে ব্যাঙ্কয়েট।’ একই সঙ্গে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘ইউপিএ চাইছে পরিধি আরও বড় হোক। এনডিএ’ও তাই চাইছে। কিন্তু ইউপিএ’র বৈঠকে কারা যোগ দিচেছ? কী শক্তি আছে তাদের? পাটনায় পিকনিক হয়েছিল। এবার বেঙ্গালুরুতে ব্যাঙ্কয়েট হবে। সব দেখে মনে হচ্ছ, কংগ্রেস হয়তো এই এবারের বৈঠকে বিজয়োৎসব পালন করতে চাইছে। এটাই ওদের কাছে সান্ত্বনা।’
লোকসভা নিয়ে আশাবাদী
আর পাঁচটা দিনের মতোই সোমবারও নিউটাউনে ইকোপার্কে মর্নিংওয়াকে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেখানেই তিনি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য বিজেপির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির কথায়, ‘আগের চেয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সংগঠন অনেক মজবুত হয়েছে। তার বড় প্রমাণ এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা ৪৭ হাজার প্রার্থী দিতে পেরেছি। আগেরবার মাত্র ২১ হাজার দিতে পেরেছিলাম। এতে স্পষ্ট, রাজ্যে সংগঠন মজবুত হচেছ। বিজেপির উপর মানুষের আস্থা বাড়ছে। তাই আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে আমরা খুব ভালো লড়াই দিতে পারব শাসক দলকে। আমার বিশ্বাস, গতবারের তুলনায় আরও এক ডজন সিট ছিনিয়ে নিতে পারব।’
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে
লোকসভা নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে রাজ্য বিজেপি বিশেষ জোর দিচ্ছ। যাদবপুরকে আলাদা সাংগঠনিক জেলার স্বীকৃতি দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, ‘আগেই ঠিক হয়েছিল লোকসভা আসন ভিত্তিক সাংগঠনিক জেলা হবে। এতে সবচেয়ে বড় সুবিধা ভোটে লড়াই করার ক্ষেত্রে। তাই যাদবপুরের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদাকেও আলাদা সাংগঠনিক জেলার স্বীকৃতি দেওয়া হচেছ।’
পুননির্বাচনে বিরোধীদের জয়
সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নজিরবিহীন সন্ত্রাস নিয়েও তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আমরা যত প্রার্থী দিয়েছিলাম সেই মতো ফল হয়নি। তার বড় কারণ ভোট লুঠ। তা শুধু ভোটের দিন হয়নি, গণনাতেও হয়েছে। ইতিমধ্যেই ছ’হাজার বুথে ভোটে কারচুপির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে হাইকোর্টে। আশা করছি, সুবিচার পাবে বিরোধীরা। কারণ, ১০ জুলাই যে ৬৯৬টি বুথে পুননির্বাচন হয়েছে, সেখানে বিরোধীরা জিতেছে ৬৫০ আসন। যা থেকে স্পষ্ট, নিয়ম মেনে ভোট পরিচালনা হলে তৃণমূল অর্ধেক আসনও জিততে পারত না।’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours