Bhojshala Survey Report: মন্দির ভেঙে মসজিদ? ভোজশালার ওপর সমীক্ষা রিপোর্ট জমা পড়ল আদালতে

ASI: ভোজশালার ওপর এএসআইয়ের রিপোর্ট, দেবী সরস্বতী সমেত ৩৭টি মূর্তির উল্লেখ
Untitled_design(703)
Untitled_design(703)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের ভোজশালা মন্দিরের ওপর আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) তাদের রিপোর্ট জমা করল সে রাজ্যের হাইকোর্টে। সোমবারই এই রিপোর্ট জমা দিয়েছে এএসআই। জানা গিয়েছে, ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে সমীক্ষা চলাকালীন ভোজশালাতে (Bhojshala Survey Report) হিন্দু দেবদেবীদের মোট ৩৭টি মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আগামী ২২ জুলাই মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট ভোজশালার মামলার শুনানি শুরু করতে পারে। 

এএসআইয়ের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল ডক্টর অলোক ত্রিপাঠী গোটা প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করেছিলেন (Bhojshala Survey Report)

প্রসঙ্গত, ভোজশালা (Bhojshala Survey Report) হল একাদশ শতকের একটি স্থাপত্য। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের চলতি বছরের ১১ মার্চ নির্দেশ দেয় এই স্থাপত্যের সমীক্ষা শুরু করে করার জন্য। অভিযোগ ওঠে, বাগদেবী সরস্বতীর মন্দির ভেঙেই তার ওপরে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। এএসআইয়ের (ASI) তরফে চলতি বছরের ২২ মার্চ শুরু করা হয়েছিল সমীক্ষা। ২৭ জুন পর্যন্ত সমীক্ষা চলে। অর্থাৎ তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি ইত্যাদির মাধ্যমে সমীক্ষা চালায় এএসআই। সমীক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল রাউন্ড পেনিটরেটিং রাডার বা জিপিআর এবং গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস। এএসআইয়ের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল ডক্টর অলোক ত্রিপাঠী গোটা প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করেছিলেন।

সমীক্ষা চলাকালীন ১৭০০-এর বেশি ধ্বংসাবশেষ সেখান থেকে মিলেছে

জানা গিয়েছে, সমীক্ষা চলাকালীন ১৭০০-এর বেশি ধ্বংসাবশেষ সেখান থেকে মিলেছে। যার মধ্যে দেবী সরস্বতীর একটি (Bhojshala Survey Report) ভগ্ন মূর্তিও পাওয়া গিয়েছে। হিন্দুদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয় যে ভোজশালা আসলে একটি মন্দিরই ছিল। অন্যান্য মূর্তির মধ্যে এখান থেকে উদ্ধার হয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি, জটাধারী ভোলেনাথের মূর্তি, হনুমানের মূর্তি, শিবের মূর্তি, ব্রহ্মার মূর্তি, ভৈরবনাথের মূর্তি, গণেশের মূর্তি। এর পাশাপাশি মিলেছে দেবী পার্বতীর মূর্তিও। দেশের অন্যতম বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক কেকে মহম্মদ এর আগেই দাবি করেছিলেন যে ভোজশালা চত্বর আসলে ছিল একটি সরস্বতী মন্দির এবং পরে তা মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। মামলা অবশ্য অনেকটাই পুরনো। ২০০৩ সালে ভোজশালা নিয়ে একটি মীমাংসা (Bhojshala Survey Report) হয়, যার মারফত সেখানে প্রতি মঙ্গলবার হিন্দুরা পূজা অনুষ্ঠান করার অধিকার পায় এবং মুসলমানরা শুক্রবারে নামাজ পড়ার অধিকার পায়। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles