Bhojshala Survey: সমীক্ষা শুরুর ৮০ দিনের মধ্যেই ভোজশালায় উদ্ধার হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি

Discovers Hindu Gods Murtis: সমীক্ষা শুরু হতেই মিলল প্রমাণ! ভোজশালায় উদ্ধার একাধিক প্রত্নবস্তু
WhatsApp_Image_2024-06-11_at_637.26_PM
WhatsApp_Image_2024-06-11_at_637.26_PM

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানভাপির পর এবার মধ্যপ্রদেশের ধারের ভোজশালা (Bhojshala Survey) মন্দিরের এএসআই সমীক্ষার ফলাফল উঠে এল হাতেনাতে। সম্প্রতি ভোজশালায় প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। সেই মতো ইন্দোর বেঞ্চের এই নির্দেশের ফলে সমীক্ষার কাজ শুরু করে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই)। আর তাদেরই সমীক্ষায় এবার উদ্ধার হল প্রাচীন হিন্দু দেব দেবীর মূর্তির (Discovers Hindu Gods Murtis)। একইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ৭৯টি প্রত্নবস্তু। 
এর আগে গত ১৮ মার্চ আদালত এএসআই সদস্যদের একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করতে বলেছিলেন। যার নেতৃত্বে পরিচালক বা এএসআই-এর অতিরিক্ত পরিচালক থাকবেন এবং নির্দেশ দিয়েছিলেন আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। আর সেই নির্দেশ মেনে সমীক্ষা শুরুর ৮০ দিনের মধ্যেই ভোজশালায় (Bhojshala Survey) উদ্ধার হল বিভিন্ন ঐতিহাসিক হিন্দু দেব দেবীর মূর্তি (Discovers Hindu Gods Murtis) সহ একাধিক প্রত্নবস্তু।   

সমীক্ষায় উদ্ধার হিন্দু দেব দেবীর মূর্তি (Bhojshala Survey) 

সমীক্ষার ৮০ তম দিনে, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দল ভোজশালার বন্ধ কক্ষটি খুলেছে। জানা গিয়েছে, প্রায় ৭৯টি ঐতিহাসিক প্রত্নবস্তুর অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে গণেশ, বাগদেবী, পার্বতী, মহিষাসুর মর্দিনী, হনুমান সহ বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি এবং বিভিন্ন সনাতানি মূর্তির অংশ। সমীক্ষার সময় এই এলাকার (Bhojshala Survey) উত্তর অংশে মাটি সমতল করার সময় প্রায় ছয়টি ঐতিহাসিক প্রত্নবস্তুর অবশেষ পাওয়া গেছে। এছাড়াও যজ্ঞশালার ভেতরে মাটি সরানোর সময় ছয়টি বড় সনাতনীর অবশেষও (Discovers Hindu Gods Murtis) পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই এই সমস্ত উদ্ধার হওয়া বস্তুগুলিকে এএসআই তাদের তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করেছে। 

আরও পড়ুন: কাউন্সেলিং চলবে, নিট পরীক্ষা বাতিলের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

ভোজশালার ইতিহাস 

উল্লেখ্য, হিন্দু সংগঠনগুলির মতে, ধারে অবস্থিত কামাল মওলানা মসজিদটি আসলে মা সরস্বতী মন্দিরের ভোজশালা (Bhojshala Survey)। ১০৩৪ সালে রাজা ভোজ সংস্কৃত পড়াশোনার জন্য ভোজশালা তৈরি করেছিলেন। রাজা ভোজ ছিলেন সরস্বতী দেবীর একনিষ্ঠ ভক্ত। কিন্তু পরে মুঘল আক্রমণকারীরা এটি ভেঙে দেয়। পরবর্তীতে ১৪০১ খ্রিস্টাব্দে দিলওয়ার খান গৌরী ভোজশালার একটি অংশে মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৫১৪ খ্রিস্টাব্দে মাহমুদ শাহ খিলজি আর একটি অংশে মসজিদ নির্মাণ করে। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles