মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীর উপত্যকায় মাদকাসক্তির ব্যাপকতা একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে কম বয়সীদের মধ্যে মাদকাসক্তির সংখ্যা বেড়েই চলেছিল। জেলা প্রশাসনের অভিনব উদ্যোগের মাধ্যমে দক্ষিণ কাশ্মীরের (South Kashmir) শোপিয়ান শিশুদের মধ্যে মাদক (Drug) ব্যবহার রোধে "সেরা পরফর্মিং" জেলা হয়ে উঠেছে।
"প্রহরী ক্লাব" এবং সিসিটিভি ক্যামেরা মোতায়েন (South Kashmir)
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শোপিয়ান (South Kashmir) জেলার অধিকাংশ ওষুধের দোকানে মাদক বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নজরদারির জন্য ওষুধের দোকানে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সেই সিসিটিভিতে ক্রমাগত মনিটরিং করা হয়। মাদকে আসক্ত হলে কতটা ক্ষতি হতে পারে তা ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে "প্রহরী ক্লাব" তৈরি করা হয়েছে। বাছাই করা ছাত্রছাত্রীরা সেখানে রয়েছে। তারা নিজেদের বন্ধুদের মধ্যে মাদকের খারাপ দিক তুলে ধরছে। এছাড়া স্কুল, কলেজের শিক্ষক, অধ্যাপকরা এই বিষয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন। "প্রহরী ক্লাবের" সদস্যরা নেশা মুক্তি নিয়ে ক্রমাগত প্রচার করে চলেছেন। আর তাঁদের এই কার্যকলাপ অন্যদের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। সমাজ কল্যাণ দফতরও এই বিষয়ে জেলাজুড়়ে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: ‘‘১ কোটির ওপর বাংলাদেশি হিন্দু আসবেন পশ্চিমবঙ্গে’’, বড় দাবি শুভেন্দুর
ডেপুটি কমিশনার কী বললেন?
শোপিয়ানের (South Kashmir) ডেপুটি কমিশনার ফজলুল হাসিব বলেন, গত দুবছর ধরে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আর মাদকের গুণাগুণ রয়েছে এমন ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ৪২০টি ওষুধের দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। আর ওষুধ বিক্রির তথ্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্রমাগত তাতে নজরদারি চালানো হয়।
মাদক বাজেয়াপ্ত!
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ৪৪টি এনডিপিএস মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০২৩ সালে সেটা বেড়ে ৯০টি হয়েছে। আর চলতি বছরে জুলাই মাস পর্যন্ত ৩৯টি মামলা রুজু হয়েছে। আর ২০২২ সালে ১৮৪ কেজি চরস (Drug) বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। ২০২৩ সালে ২২১ কেজি চরস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গত সাত মাসে ৪৯৩ কেজি পোস্তর দানা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours