মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগের চন্দ্রযানের কথা মনে আছে? ইসরোর বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রম করে শুরু করেছিলেন মিশন চন্দ্রযান ২। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের সেই অভিযানে, চাঁদের মাটি ছোঁয়ার কিছু আগেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রোভারটি। বছর চার আগের ব্যর্থতা দূরে ঠেলে শুক্রবার চাঁদের দেশে পাড়ি দিল চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। আর এই সফল অভিযানের অন্যতম অংশীদার বাংলাও। কারণ চন্দ্রযান-৩ ক্যামেরার ডিজাইন করেছেন ইসলামপুরের অনুজ নন্দী।
আরও পড়ুন: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর
ইসলামপুরের অনুজ নন্দী
স্বাভাবিক ভাবেই এদিন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা অনুজ নন্দীর বাড়িতে খুশির মহল দেখা যাচ্ছে। এই ঐতিহাসিক অভিযানের সঙ্গে নাম জুড়ে গিয়েছে জেলার ছেলের। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে ইসলামপুর হাইস্কুলে পড়াশোনা শেষ করার পর রায়গঞ্জ কলেজে বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হন অনুজ। এরপরই আর পিছনে তাকাতে হয়নি তাঁকে৷ বেঙ্গালুরুর ইসরোতে গত আট বছর ধরে কাজ করছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। ছেলের কাজে গর্বিত কৃতী বিজ্ঞানীর মা সোমাদেবী আজ উচ্ছ্বসিত৷ তিনি বলেন, “একমাস আগেই ইসলামপুরের বাড়িতে এসেছিল। বেঙ্গালুরু থেকে আজ ফোনে সবটা জানিয়েছে। আমরা এখানে বসেই মোবাইল ফোনে চন্দ্রযান অভিযানের দৃশ্যের সাক্ষী থাকলাম।”
শুক্রবার ২ টো বেজে ৩৫ মিনিটে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)
শুক্রবার পূর্ব নির্দিষ্ট মাহেন্দ্রক্ষণ, দুপুর ঠিক ২ টো বেজে ৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সফলভাবে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। মাত্র ১৭ মিনিটে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছনোর কথা। তবে চাঁদে পৌঁছতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে ইসরোর তৈরি চন্দ্রযানের। বিজ্ঞানীদের অঙ্ক বলছে, ২৩ বা ২৪ অগাস্ট উপগ্রহের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান-৩। আর চাঁদ অভিযানে ভারতের এই সাফল্যে নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণার জগতে বিশাল কীর্তি। এর আগে এমন কৃতিত্বের অধিকারী রাশিয়া, আমেরিকা, চিন। ভারত বসল চতুর্থ স্থানে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours