মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান- ৩ এর সাফল্যের পিছনেও ইসরোর অন্য বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ছিলেন নদিয়ার কালীনারায়ণপুরের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধানগরের বাসিন্দা বরুণ বিশ্বাসও। আদিত্য-এল ওয়ান এর বিশেষ দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এদিন আদিত্য-এল ওয়ান (Aditya-L1) এর সফল উৎক্ষেপণ হওয়ায় গর্বিত পরিবারের সদস্যরা।
আদিত্য-এল ওয়ানের (Aditya-L1) কী দায়িত্বে রয়েছেন বরুণ?
মাত্র কয়েকদিন আগে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে চন্দ্রযান-৩। প্রতি মুহূর্তে চাঁদের আপডেট দিচ্ছে সে। এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে ইসরোর কয়েকশো বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রম। চন্দ্রযান-৩ এর পর এবার আদিত্য-এল ওয়ানের সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে। এর পরই ইসরোর অন্য বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কালীনারায়ণপুরের বরুণও চরম ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বরুণ প্রথমে নদিয়া জেলার কালীনারায়ণপুরের রাধানগর গ্রামের স্কুল থেকে পড়াশুনা করেন। পরে, বীরনগর উচ্চ বিদ্যালয় পাশ করে বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। পরে, হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে গত ১০ বছর আগে ইসরোতে তিনি যোগ দেন। চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ডিংয়ের তিনি দায়িত্বে ছিলেন। অদ্যিত্য-এলওয়ান (Aditya-L1) সফল উৎক্ষেপণ হওয়ায় দেশবাসীর সঙ্গে চরম আনন্দিত বরুণের পরিবারের লোকজন। কারণ, অদ্যিত্য-এলওয়ান প্রযুক্তি টিমে রয়েছেন বরুণ।
কী বললেন বিজ্ঞানী বরুণের পরিবারের লোকজন?
পরপর দুটি সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়া নিয়ে গর্বে বুক ভরে উঠেছে বরুণের মা, বাবার। বাবা জহরলাল বিশ্বাস বলেন, ছোটবেলা থেকেই টেকনিক্যাল বিষয়ে বরুণের ঝোঁক ছিল বরাবরই। পড়াশুনার ফাঁকে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র দিয়ে নানারকম জিনিস তৈরি করত,যা আমরা দেখে অবাক হয়ে যেতাম। আজকে ছেলের এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। মা সরস্বতী বিশ্বাস বলেন, আদিত্য-এল ওয়ানের জন্য অন্যদের ছেলে খুব পরিশ্রম করেছে। আজ সকাল থেকে খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। অবশেষে সফল উৎক্ষেপণ হওয়ার পরই আমরা গর্বিত। অন্যদিকে, বরুণের এই সাফল্যে গর্বিত গোটা গ্রামের মানুষ। তবে, চন্দ্রযান-৩ যখন ভারতের মাটি ছেড়ে চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তখনও টিভির পর্দায় চোখ ছিল গোটা গ্রামের মানুষের, এবারও আদিত্য-এল ওয়ানের (Aditya-L1) সাফল্য কামনা করেছে গোটা গ্রামের বাসিন্দারা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours