Barrackpore: “পুলিশ ৪০ কেজি ভুঁড়ি নিয়ে হাঁটতেই পারে না, অপরাধীদের কী ধরবে”! তোপ অর্জুন সিংয়ের

Barrackpore: বারাকপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও কেউ গ্রেফতার হল না!
Barrackpore_(4)
Barrackpore_(4)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ভরসন্ধ্যায় বারাকপুরের (Barrackpore) আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে ঢুকে মালিকের ছেলেকে খুন করার ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সাংসদ অর্জুন সিং স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। এই ঘটনার জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তিনি বলেন, "আগে পুলিশের নাম শুনলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যেত। এখন পুলিশ ৪০ কেজি ভুঁড়ি নিয়ে হাঁটতেই পারে না, সে অপরাধীদের ধরবে কী করে? একমাসের মধ্যে টিটাগড় থানা এলাকায় দুটি খুন হয়ে গেল। টিটাগড় থানার ভূমিকা ঠিক নেই। বারাকপুরের সাংসদ হিসাবে আমি খুবই দুঃখিত"।

কী বললেন পুলিশ কমিশনার?

সোনার দোকানে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে এসেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীদের মধ্যে একজন স্থানীয়। বাকি সকলেই বহিরাগত। বারাকপুরের (Barrackpore)  পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, "ডিসি (সেন্ট্রাল), ডিসি ( ডিডি)-র নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। ফরেন্সিক টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে"। গত বছর ১৭ই মে ডি বাপি বিরিয়ানির দোকানে শ্যুট আউট হয়েছিল। আর এক বছরের মাথায় বাইরের দুষ্কৃতীরা সোনার দোকানে ডাকাতি করতে এসে খুন করল স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলেকে। দুটি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

শনিবার ব্যবসা বনধ ডাকল স্বর্ণ শিল্পীরা

খুনের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বারাকপুরে (Barrackpore) ব্যবসা বনধ ডাকলেন স্বর্ণ শিল্পীরা। এই খুনের ঘটনার পিছনে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করলেন দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত নীলাদ্রির বাবা নীলরতন সিংহ। গত ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখে নীলাদ্রির বিয়ে হয়েছিল ঐন্দ্রিলার সঙ্গে। প্রথম জামাইষষ্ঠীতে বারাকপুরের বড়পুল এলাকায় তাঁর আর শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হল না। গোটা এলাকা থমথমে। বাড়ির মালিকের সঙ্গে সোনার দোকানের মালিকের ভাড়া নিয়ে সমস্যা চলছিল। জানা গিয়েছে, ২০০১ সালে বাড়ির মালিকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। তাতে মাসে ৩০০ টাকা ভাড়া ছিল দোকানের। ভাড়া বাড়ানোর কথা বললেও তারা রাজি হয়নি। তা নিয়ে নাকি গণ্ডগোল চলছিল। এই ঘটনার সঙ্গে ভাড়াটিয়া-মালিকের গণ্ডগোলের বিষয়টির কোনও সম্পর্ক আছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছা়ড়া ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই ওয়াশিম নামে এক কর্মী দোকানে ঢুকেছিলেন। তিনি হলমার্কের কাজ করেন। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পর দুষ্কৃতীরা দোকানে ঢোকে। ফলে, তাঁর ভূমিকাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles