মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তালিবান (Taliban) মানেই যেন ফতোয়া! আমরা যাকে বলি কোনও কিছুকে নিষিদ্ধ করা বা ব্যান করা। নারী অধিকার, নারী শিক্ষা তো সে দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে, এবার যে কোনও রকমের রাজনৈতিক কার্যকলাপও নিষিদ্ধ হল আফগানিস্তানে। তালিবান (Taliban) সরকারের আইনমন্ত্রী শাইখ মৌলবি আবদুল হাকিম শারি একথা নিজে ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুুন: এই প্রথম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উড়ল ছত্তিশগড়ের আটটি গ্রামে
তালিবানি (Taliban) ফতোয়া
জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থা দ্য ডন পত্রিকাতে এই নিয়ে রিপোর্ট বেরিয়েছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার তালিবানে আইনমন্ত্রী শাইখ মৌলবি আবদুল হাকিম শারি কাবুলে তার মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। সেময় তিনি বলেন, দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ড পুরোপুরি বন্ধ করা হল। কারণ শরিয়ত আইন অনুযায়ী, তাদের কোনও স্থান নেই। এসব দলের সঙ্গে কোনও জাতীয় স্বার্থও জড়িত নয় ও দেশের সাধারণ মানুষ তাদের পছন্দও করে না। গত ১৬ অগাস্ট এ বিষয়ে জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, আফগানিস্তানে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করতেই তালিবান এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক চাপের কাছেও তালিবান (Taliban) যে নতি স্বীকার করবে না সে কথাও সাফ ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালে ক্ষমতা দখল তালিবানের
২০২১ সালের ১৫ অগাস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালিবানরা। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও দেশই তালিবান (Taliban) সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।
ক্ষমতায় এসেই ঠিক আগের রূপেই ফিরে যায় তারা। ২০ বছর আগের আফিগানিস্তান যেন ফিরে এসেছে। নারীদের শিক্ষা ও একাকী চলাফেরায় বিধি নিষেধ আরোপ করে তালিবান। সম্প্রতি আফগানিস্তানের মহিলাদের বিউটি পার্লারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে তালিবানরা (Taliban)। এবার বন্ধ হল রাজনৈতিক কার্যকলাপ।
আরও পড়ুন: কোচবিহারে বাড়ি সংস্কার করতে হলেও দিতে হবে নতুন হারে পুরকর, আন্দোলনে বিজেপি
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours