Bangladesh Crisis: সম্পাদক সুরাবর্দির উত্তরসূরি! তাই কি হিন্দু নিধনের খবর চাপল ‘ঢাকা ট্রিবিউন’?

Zafar Sobhan: হিন্দু নির্যাতনের খবর চেপে গিয়েছেন জাফর, জানুন ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদকের কীর্তি...
bangladesh_f
bangladesh_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) চলেছে হিন্দু নিধন যজ্ঞ। সে দেশের বেশ কিছু সংবাদপত্র সে খবর ‘চেপে’ গিয়েছে বলে অভিযোগ। পাছে সরকারের রোষে পড়তে হয়, তাই খবর চাপা হয়েছে বলে অভিযোগ। সরকারের ধামাধরা পত্রপত্রিকাগুলো তো আবার হিন্দুদের ওপর নির্যাতন হয়নি বলেই দাবি করেছে। এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের দৈনিক ‘ঢাকা ট্রিবিউন’ও। সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, সেই নৃশংসতা হোয়াইটওয়াশ করতে চেষ্টার ত্রুটি করেনি ‘ঢাকা ট্রিবিউন’। বাংলাদেশে জনপ্রিয় এই দৈনিকের সম্পাদক পদে রয়েছেন জাফর শোভন (Zafar Sobhan)। তিনি হুসেন সইদ সুরাবর্দির বংশের উত্তরসূরী। এই সুরাবর্দিকে সবাই চেনেন ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’-এর মাস্টারমাইন্ড হিসেবে। তাঁর জন্যই স্বাধীনতার আগে আগে প্রাণ খোয়াতে হয়েছিল অখণ্ড ভারতের বহু হিন্দুকে।

‘ঢাকা ট্রিবিউনে’র প্রতিবেদন (Bangladesh Crisis)

গত ২৩ অগাস্ট, শুক্রবার একটা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ‘ঢাকা ট্রিবিউনে’। শিরোনাম ছিল ‘টেন থিংস ইন্ডিয়া নিডস টু নো অ্যাবাউট বাংলাদেশ’। এই প্রতিবেদনে জাফর সে দেশে নৈরাজ্য ও অনাচারের পরিণতি হিসেবে হিন্দুদের ওপর হামলাকে যুক্তিযুক্ত বলে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন। প্রতিবেদনের শুরুতেই তিনি লিখেছেন, ‘হিন্দুরা বিপদে নেই। হ্যাঁ, শেখ হাসিনার পালানোর পর প্রাথমিক বিশৃঙ্খলায় অল্প সময় দেশে অরাজকতা ও অনাচার ছিল। এবং হ্যাঁ, দুর্ভাগ্যবশত, যাদের টার্গেট করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু সদস্যও ছিল।’ নিজের দাবি সত্য বলে প্রতিপন্ন করতে ভারতের সঙ্গে তুলনা টেনেছেন ‘ঢাকা ট্রিবিউনে’র সম্পাদক। ভারতে এটি ‘রেগুলার ইভেন্ট’ বলে দাবি করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘এরকম সময় যাদের টার্গেট করা হয়েছে, তারা প্রায়ই সব চেয়ে ক্ষমতাহীন ও আমরা সবাই জানি দক্ষিণ এশিয়ায় দুঃখজনকভাবে সংখ্যালঘুরা সব সময়ই অরক্ষিত থাকে।’

হিন্দুদের ওপর নৃশংসতার ঘটনা আড়ালের চেষ্টা 

বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হিন্দুদের ওপর নৃশংসতার ঘটনা আড়াল করতে পত্রিকা সম্পাদক উন্মত্ত মুসলমান জনতা দ্বারা সংঘটিত হিংসাকে রাজনৈতিক লক্ষ্যবস্তুর পরিণতি হিসেবে মানতে রাজি নন। হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনার নেপথ্যে যে ধর্মীয় উদ্দেশ্যই ছিল, তাও স্বীকার করেননি তিনি। সম্পাদক লিখেছেন, ‘হিন্দুরা যে গণহত্যার লক্ষ্যবস্তু ছিল, এটা সম্পূর্ণ ভুল। এটা ছিল বিপ্লবেরই একটা অংশ। তাদের লক্ষ্যবস্তু ও ক্ষমতাচ্যুত করা আসলে বিপ্লবেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল নিছকই একটি কল্পকাহিনি।’ বস্তুত, এর আগে প্রায় একই ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছিল ব্রিটেনের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা বিবিসি। তারাও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণকে লঘু করে দেখিয়েছিল বলে অভিযোগ।

পরিস্থিতি শান্ত!

হিন্দুদের ওপর সে দেশের মুসলমানরা কতটা সহমর্মী, তা প্রমাণ করতে ‘ঢাকা ট্রিবিউনে’র সম্পাদক (Zafar Sobhan) দেখানোর চেষ্টা করেছেন, কীভাবে বাংলাদেশে হামলাকারীদের হাত থেকে হিন্দুদের মন্দির রক্ষা করছেন মুসলমানরা, সেই ছবি। প্রতিবেদনে তিনি দাবি করেছেন, ‘পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে শান্ত হয়েছে। হিন্দুদের ওপর হামলার পাশাপাশি কীভাবে হিন্দু-মুসলমান হাত ধরাধরি করে মন্দির রক্ষা করেছে, সেটাও উল্লেখযোগ্য বই কি!’ তাঁর দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা ভারতের চেয়ে ঢের বেশি সুরক্ষিত রয়েছেন। সংখ্যালঘুদের অধিকারের ক্ষেত্রে বিষয়গুলি বাংলাদেশে নিখুঁত নয় বলেও ওই প্রতিবেদনে স্বীকার করে নিয়েছেন ‘ঢাকা ট্রিবিউনে’র সম্পাদক।

কিন্তু, প্রশ্ন হল, ভারতে যদি সংখ্যালঘুরা সুরক্ষিত না হন, তবে মুসলমান জনসংখ্যা কীভাবে বাড়ছে? স্বাধীনতার সময় যে দেশে মুসলমান জনসংখ্যা ছিল ৯.৮৪ শতাংশ, সেখানে ২০১১ সালের জনগণনায় দেখা গেল তাদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪.৯ শতাংশ। এটা কীভাবে হল, তার কোনও ব্যাখ্যা ওই প্রতিবেদনে নেই। যেমন ছিল না বাংলাদেশে কীভাবে দিন দিন কমছে হিন্দু জনসংখ্যা, তার কৈফিয়ত।

জাফর শোভনের এই 'মিথ্যাচারে'র কারণ

জাফর শোভনের এই 'মিথ্যাচারে'র কারণ রয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। মনে রাখতে হবে, জাফরের শরীরে বইছে ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’-এর মাস্টারমাইন্ডের রক্ত। জাফর বাংলাদেশি সমাজকর্মী তথা আইনজীবী সালমা শোভনের ছেলে। এই সালমার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বাংলার ঘাতক হুসেন সইদ সুরাবর্দির। ১৯৪৬ সালের ৬ অগাস্ট কলকাতা চাক্ষুষ করেছিল ‘ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে’। মুসলিম লিগ নেতা মহম্মদ আলি জিন্নার নির্দেশে এটা কার্যকর করা হয়েছিল। এই সময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সুরাবর্দি। তাঁর নির্দেশেই হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার করে মুসলমানরা (Bangladesh Crisis)।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে এসসিও সম্মেলন, মোদিকে আমন্ত্রণ শরিফের, যোগ দেবেন কি প্রধানমন্ত্রী?

সুরাবর্দির কীর্তি

সুরাবর্দি মুসলমান জনতার উদ্দেশে উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেন। হিন্দুদের আক্রমণ করতে উৎসাহিতও করেছিলেন তিনি। সুরাবর্দি পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। তাই অত্যাচারিত হয়ে, সাহায্য চাইলেও, হিন্দুদের ডাকে (Zafar Sobhan) সাড়া দেয়নি পুলিশ। প্রসঙ্গত, ‘ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে’-র সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে কট্টরপন্থী মুসলমানরা নোয়াখালি হিংসার মতো হত্যাকাণ্ড চালাতে থাকে। সুরাবর্দির এই ‘ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে’-ই ইতিহাসে ‘দ্য গ্রেট কিলিং ডে’ হিসেবে বিখ্যাত (Bangladesh Crisis)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles