মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু মন্দিরে মুসলমান দুষ্কৃতী হামলার খবরে নানা সময়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে ভারতের পড়শি দেশ বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশই সম্প্রতি হেডলাইন হয়েছে ভিন্ন কারণে। কারণটি হল, ১০০ জন বাংলাদেশি খ্রিস্টান ধর্ম ছেড়ে দীক্ষা নিলেন সনাতন ধর্মে (Ghar Wapsi)। খাগড়াগাছি জেলার ঘটনায় উৎসাহিত বাংলাদেশের সনাতনীরা।
হিন্দু বিতাড়ন
১৯৭১ সালে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ। দেশটিতে তখন হিন্দু ছিলেন মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশ। তার পর কখনও হিন্দু বিতাড়ন, কখনও আবার রীতিমতো নির্যাতন করে ভিটে ছাড়া করা হয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের। হিন্দু মন্দিরে হামলা করে মূর্তি পুজোর বিরোধী মুসলমানরা। নানা জায়গায় ভেঙে দেওয়া হয় হিন্দুদের আরাধ্য দেবতার মূর্তিও। বেশিরভাগ সময়ই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ে না। কখনও কখনও ধরা পড়লেও ছাড়া পেয়ে যায় সহজেই। তাই বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরে হামলার লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী।
ফিরলেন হিন্দু ধর্মে
কেবল হিন্দু (Ghar Wapsi) নন, সে দেশে সংখ্যালঘু খ্রিস্টানরাও দুষ্কৃতী হামলার শিকার। অভিযোগ, এই দুষ্কৃতীরা ধর্মে মুসলমান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার টোপ দিয়ে বাংলাদেশেও ধর্মান্তরিত করছেন খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারকরা। অভিযোগ, এই টোপ গিলে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশের বহু হিন্দু। এমনই একশোজন ফিরলেন হিন্দু ধর্মে। যাঁরা এবার হিন্দু ধর্মে দীক্ষা নিলেন, তাঁরা জয়ন্তিয়া ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের। খ্রিস্টান মিশনারিদের টোপ গিলে বহু বছর আগে ওই ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন তাঁরা। খাগড়াগাছি জেলা সহ চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় সক্রিয় এই মিশনারিরা। এই পাহাড়ি অঞ্চলে জয়ন্তিয়া সম্প্রদায়ের যেসব গরিব মানুষ বাস করেন, মূলত তাঁদেরই টোপ দিয়ে ধর্মান্তরিত করেন খ্রিস্টান মিশনারিরা।
আরও পড়ুুন: “টাটাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তৃণমূলের ফান্ড থেকে, না হলে আন্দোলন”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি এঁদেরই একশো জন পূর্বপুরুষের ধর্মে ফিরতে চেয়ে যোগাযোগ করেন স্থানীয় হিন্দুত্ববাদীদের সঙ্গে। আর্য সমাজের সহযোগিতায় তাঁরাই আয়োজন করেন ঘরে ফেরার অনুষ্ঠানের। দীক্ষার দিন ঠিক হয় ২৮ অক্টোবর, শনিবার। বীর চাট্টালা গ্রামে হয় অনুষ্ঠানের আয়োজন। যজ্ঞে আহুতি দিয়ে এবং বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ওই জয়ন্তিয়া মানুষজন দীক্ষিত হন সনাতন ধর্মে (Ghar Wapsi)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours