ASI: প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে একসঙ্গে কাজ করবে এএসআই ও রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি

The Archaeological Survey of India: বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে অংশীদারিত্বে খনন কাজ করবে এএসআই, বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা
parliament_-_2024-09-11T154402828
parliament_-_2024-09-11T154402828

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হয়ে চলা পুরাতত্ত্ব খনন প্রকল্পগুলির কিছুটা অংশ রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মাধ্যমে পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ (এএসআই)। আগামী পাঁচ বছরে এই প্রকল্পগুলির জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এএসআই-এর কর্মী ও সম্পদের ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

কীভাবে চলবে কাজ

এই নয়া উদ্যোগের ফলে, বড় প্রকল্পগুলি সরাসরি এএসআই পরিচালনা করবে। কিন্তু ছোট ও নির্দিষ্ট সাইটের খননকার্য পরিচালনার জন্য রাজ্য ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সহায়তা নেওয়া হবে। যদিও প্রকল্পগুলোর তত্ত্বাবধান এএসআই-ই করবে, এবং এএসআই-এর নিয়ম মেনে চলতে হবে। প্রকল্পগুলির জন্য পুরো খরচও এএসআই বহন করবে। এএসআই কোনও গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বা জটিল পরিস্থিতির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে এএসআই ভারতের সমৃদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যকে আরও ব্যাপকভাবে অনুসন্ধান ও সংরক্ষণ করতে চায়।

কেন এই সিদ্ধান্ত

২০২২-২৩ সালে এএসআই ৩১টি খনন স্থানের অনুমোদন দিয়েছিল, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি স্থানের মধ্যে রয়েছে হরিয়ানার রাখিগড়ি, দিল্লির পুরানা কিলা, এবং গোয়ার সেন্ট অগাস্টিন চার্চ। তবে কর্মী ও অর্থের অভাবে অনেক প্রকল্প এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি। যদিও কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা পায় এএসআই, তার অল্প অংশই খনন কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়। অধিকাংশ অর্থ অন্যান্য কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়, ফলে খনন কার্যক্রমের বাজেট অপূর্ণ থেকে যায়। এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য এএসআই রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সহায়তা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরও পড়ুন: রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি! অস্থিরতার জেরে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে বাংলাদেশ

কোথায় কোথায় খনন কার্য

ভবিষ্যতে গুজরাটের দ্বারকা এবং তামিলনাড়ুর কাবেরী অববাহিকার মতো পুরাণে উল্লেখিত ডুবে যাওয়া শহরগুলিতে খনন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, মহারাষ্ট্র ও ওড়িশার উপকূলে জলতাত্ত্বিক গবেষণা পুনরুজ্জীবিত করার মাধ্যমে ভারতের সমুদ্রের ইতিহাসও আবিষ্কৃত হবে। এই বছর, এএসআই খনন প্রকল্পগুলিতে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে, যা আগামী বছরে ২০ কোটি টাকায় উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে খনন কার্যক্রমের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের লক্ষ্য রয়েছে। এই উদ্যোগ ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য অনুসন্ধানে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা প্রত্নতাত্ত্বিকদের।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles