Asani Update: শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ পরিণত নিম্নচাপে, কোথায় কেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা?

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে মহানগরের বিভিন্ন দিকে। বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (KMC) তরফে তাদের দুর্যোগ মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
Cyclone_Asani
Cyclone_Asani

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গভীর নিম্নচাপে (Deep depression) পরিণত হল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ (Asani)। আগামী ৩৬ ঘণ্টায় আরও শক্তিক্ষয় হবে ঘূর্ণিঝড়ের (cyclone)। ওড়িশা (Odisha) উপকূলের কাছে এসেই শক্তি হারাবে ‘অশনি’। সমুদ্রের মধ্যেই ক্রমশ শক্তি হারিয়ে ফেলে ওই ঘূর্ণিঝড়। তাই ল্যান্ডফলের (Landfall) আশঙ্কা নেই বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। তাই ঝড়ের তাণ্ডব থেকে এ যাত্রায় মুক্তি পাওয়ার কথাই শোনাচ্ছে হাওয়া অফিস। শেষ ছয় ঘণ্টায় শক্তিক্ষয় করে ছয় কিলোমিটার বেগে ওড়িশা উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। তবে ঝড় না হলেও নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিতে ভাসবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। ইতিমধ্যই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে অন্দ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার বিভিন্ন জেলায়।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে শহরের নানা প্রান্তে। কালো মেঘে দুপুরেই যেন আঁধার নেমেছে শহর কলকাতায় (Kolkata)। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে মহানগরের বিভিন্ন দিকে। বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। কলকাতা পুরসভার (KMC) তরফে তাদের দুর্যোগ মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকটা বরোর জন্য একটা করে মোট ১৬টা দল তৈরি করা হয়েছে। যারা সবসময় পরিস্থিতির দিকে নজর রাখবে। রাস্তায় গাছ পড়ে গেলে তা দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করা হবে। শহর যাতে জলমগ্ন না হয় তার জন্য অন্তত ৯৫ শতাংশ পাম্প তৈরি রাখা হয়েছে। সমস্ত পাম্পিং স্টেশনে জেনেরেটর প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আগামী ১২ তারিখ পর্যন্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

[tw]

[/tw]

কলকাতা ছাড়াও নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায়  বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বজ্রপাতের আশঙ্কায় নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে দিঘায় পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে মানা করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে এনডিআরএফের (NDRF) টিম। দিঘায় পৌঁছেছেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। পর্যটকরা যাতে সমুদ্রে না নামেন, তার জন্য রয়েছে কড়া নজরদারি। চলছে মাইকে প্রচার। আজ থেকে মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: শক্তি বাড়িয়ে ধয়ে আসছে 'অশনি', বাংলা-ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা

বিশাখাপত্তনমে সমুদ্র উত্তাল। বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। দুর্যোগের জেরে চেন্নাই বিমানবন্দরে বাতিল করা হয়েছে হায়দরাবাদ, বিশাখাপত্তনম, জয়পুর, মুম্বই থেকে আসা ১০টি বিমান। বিশাখাপত্তনমেও বেশ কিছু বিমান বাতিল করা হয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় 'অশনি'র প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম, বিশাখাপত্তনম,পূর্ব গোদাবরি-সহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি চলছে। 'অশনি'র প্রভাবে ওড়িশাতেও বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ওড়িশার খুরদা, গঞ্জাম, পুরী, কটক, ভদ্রকে বৃষ্টি চলছে। 'অশনি' পরিস্থিতিতে ওই চার উপকূলবর্তী এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে অন্যত্র সরানো হয়েছে।

গঞ্জামের সুনাপুরের কাছে ১১ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মৎস্যজীবীদের নৌকা সমুদ্রে আটকে পড়েছিল। বুধবার গঞ্জা, খুরদা, পুরী, জগৎসিংপুর, কটকে বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার পুরী, জগৎসিংপুর, কটক, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক, বালাসোরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬০ কিমি। ওড়িশার মুখ্যসচিব এস সি মহাপাত্র বলেছেন, "ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্য তৈরি। ক্ষয়ক্ষতি কী হতে পারে, সে ব্যাপারে জেলাশাসকদের তৎপর করা হয়েছে।" 

ঘূর্ণিঝড়ের জেরে আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) ও কোনারক মন্দিরে (Konark Temple)। ২০১৯ সালে সাইক্লোন ফণী (Fani) যখন আছড়ে পড়েছিল, তখন ক্ষতি হয়েছিল জগন্নাথ মন্দিরে। একইসঙ্গে ২০২০ সালে আমফান (Amphan) এবং ২০২১ সালে ইয়াসের (Yass) সময়ও জোরদার সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল পুরীর মন্দিরে। ঝড়ে যাতে মন্দিরের কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles