মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) গ্রেফতারি বৈধ। তাঁকে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হয়নি, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট। আপাতত তাঁকে তিহাড় জেলেই থাকতে হবে। এই দুর্নীতি মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে বলেও মানতে নারাজ দিল্লি হাইকোর্ট। আদালতের বক্তব্য, এই মামলাটি কেন্দ্র সরকার এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মধ্যে নয় বরং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মধ্যে।
আদালতে সওয়াল জবাব
ইডি আদালতে জানিয়েছে, কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) বিরুদ্ধে তাদের হাতে প্রমাণ রয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে আবগারি মামলার ‘মূলচক্রী’ হিসাবেও দেখিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পাশাপাশি, তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আদালতে ইডি জানায় আবাগারি নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ক্ষমতার বলে প্রভাব খাটিয়েছেন কেজরিওয়াল। ঘুষ নিয়ে ফায়দা দেওয়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা ছিল আম আদমি পার্টির সুপ্রিমোর। আবগারি নীতি তৈরি করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আপ নেতারা প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঘুষ পেয়েছিলেন। পাশাপাশি গোয়ায় যারা আপ-এর প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁদের দলের তরফে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হয়েছিল ভোটে লড়ার জন্য। অন্য দিকে, কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির দাবি ছিল, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি বলবৎ ছিল। তাই তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। গত বুধবার দু’পক্ষের সওয়াল শোনার পর ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে আপপ্রধানের মামলার রায়দান সংরক্ষিত রেখেছিল দিল্লি হাইকোর্ট।
Delhi High Court says that the material collected by the ED reveals that Mr Arvind Kejriwal conspired with others. The ED case also reveals that he was involved in his personal capacity as well as convenor of AAP. Granting pardon to approver is not under ED's domain and is a… https://t.co/3MwWNRjI1s
— ANI (@ANI) April 9, 2024
আদালতের পর্যবেক্ষণ
দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) অন্যদের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেছেন এবং অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। ইডি এই সংক্রান্ত পর্যাপ্ত প্রমাণ আদালতে পেশ করতে পেরেছে। তাই এই গ্রেফতারিকে বেআইনি বলা যাবে না। দিনের পর দিন তিনি যেভাবে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন, তাতে প্রমাণ হচ্ছে এই গ্রেফতারি প্রয়োজনীয়। এই দুর্নীতি মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে বলেও মানতে নারাজ দিল্লি হাইকোর্ট। আদালতের মতে, রাজনৈতিক বিবেচনা এবং সমীকরণ আদালতে টেনে আনা যাবে না। আইনের কাছে এসব অপ্রাসঙ্গিক। বিচারপতিরা আইনের কাছে দায়বদ্ধ, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কাছে নয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। আবেদনে এমনটাই জানিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours