মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৪ মাস ৯ দিন পর কেষ্টর তৃপ্তির আহার, স্বস্তির ঘুম! কারণ বর্তমানে নিজের জেলায় ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। ফলে তাঁকে রসিয়ে খেতে দেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। আবার জানা গিয়েছে, জেল থেকে পুলিশ হেফাজতেই এসেই তিনি জ্বরে ভুগছেন। তবে কি দিল্লি যাওয়ার ভয়ে এখন হাসপাতালে যেতে চাইছেন কেষ্ট?
কেষ্টর আপাতত ঠাঁই হয়েছে দুবরাজপুর থানায়
গরু পাচার মামলায় তদন্ত করছে ইডি (ED)। সোমবারই ওই মামলায় অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি পেয়েছে ইডি। এ বিষয়ে শনিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে শুনানি হয়েছিল। ইডি অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি চাইলে আদালত থেকেও বলা হয়েছে, অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল আরেক ঘটনা।
তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডল কেষ্টর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল পার্টি অফিসে তাঁকে গলা টিপে মারার চেষ্টা করা হয়। তিনি অন্য দলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন বলেই এটা করা হয়েছিল। অনুব্রতর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। ফলে পুলিশ ১৪ দিনের জন্য অনুব্রতকে হেফাজতে চাইলেও, সাত দিনের জন্য তাঁকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তাই তাঁকে এখন আসালসোল জেল থেকে বের করে দুবরাজপুরে নিয়ে আসা হয়েছে। ফলে দিল্লি যাওয়া পিছিয়ে গেল।
আরও পড়ুন: ‘‘ডাকাতকে বাঁচাতে সরকার যা করছে, তাতে বিপদ বাড়ছে’’, অনুব্রত প্রসঙ্গে শুভেন্দু
দুবরাজপুর থানার লকআপে কেমন কাটছে কেষ্টর?
সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিজের জেলার লকআপে এসে প্রথম রাত ভালোই কেটেছে তাঁর। দুবরাজপুর থানার মধ্যেই তাঁর জন্যে একটি আলাদা রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানেই পাতা হয়েছে খাট। আরও জানা গিয়েছে, গতকাল থানায় আনার পরই খেয়েছিলেন মুড়ি। মঙ্গলবার দুপুরে ভাত, মুসুরির ডাল, পোস্তর বড়া ও আলু পোস্ত দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। রাতে তাঁর মেনুতে ছিল, তিনটি রুটি, বেগুন পোড়া ও ছোলার ডাল। যদিও তিনি একটিমাত্র রুটি-ই খেয়েছেন বলে খবর। তারপর রাতে বেশ ভালোই ঘুমিয়েছেন। এদিনও সকালে ঘুম থেকে উঠে চা-বিস্কুট খান অনুব্রত মণ্ডল। টিফিনে পুরি ও সবজিও খেয়েছেন বলে খবর। আবার, লকআপে অনুব্রত মণ্ডলের জন্য একজন অ্যাটেড্যান্টও রাখা হয়েছে বলে খবর। ফলে সব মিলিয়ে এলাহি ব্যাপার।
জ্বরে আক্রান্ত কেষ্ট
আজ আবার জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল জেল হেফাজত থেকে পুলিশি হেফাজতে আসার পরই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশের পর তাঁর মেডিক্যাল চেকআপের জন্য যখন তাঁকে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তখনই জানা যায় তিনি জ্বরে আক্রান্ত। তাঁর যে জ্বর এসেছে তা তিনি নিজের মুখেই জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালের এক নার্স জানান, প্রেসার আছে ৮০/৯০। তিনি ওষুধ খেয়েছেন। প্রেসারের সমস্যা আছে। এছাড়াও শরীরে টেম্পারেচার থাকলেও তিনি ঠিক আছেন বলেই জানিয়েছেন।
+ There are no comments
Add yours