মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেই কি আভাস পেয়েছিলেন? সপ্তাহ দুয়েক আগে তাঁর রাজভবনের ফ্ল্যাট থেকে বাক্স ভর্তি সামগ্রী সরিয়ে নিয়েছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। এখন নাকি রাজভবনের বাড়িতে জামাকাপড় এবং বাসনপত্র ছাড়া আর কিচ্ছু নেই। মলয় ঘটকের কাগজপত্র সরিয়ে নেওয়া খবর অবশ্য তৃণমূলের একাংশের মাধ্যমেই বাইরে এসেছে। তাদের কেউ কেউ গল্প করে জানাচ্ছেন, আসল জায়গায় যেতে পারেনি সিবিআই। ‘মাল’ যা ছিল তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
কয়লাপাচার কাণ্ডে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা, এবার কি গ্রেফতার রাজ্যের আইনমন্ত্রী?
তৃণমূলের অন্দরের খবর, শুধু মলয়বাবু নন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েকবার কোন কোন নেতাদের সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করবে তার তালিকা এক নিশ্বাসে ঘোষণা করে দিয়েছেন। সেই তালিকায় থাকা সকলেই নিজেদের অমূল্য সম্পদ সরিয়ে ফেলেছেন বলে জোড়াফুলের অন্দরের খবর। কেন মমতার ঘোষণায় ভয় পেয়ে গিয়েছেন নেতারা? তৃণমূলের একটা বড় অংশ জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী যে তালিকা ঘোষণা করেছেন তা এসেছে শান্তিনিকেতন থেকে। আর সারদা কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী যখন প্রশ্ন তুলেছিলেন, আমি চোর, কুণাল চোর, টুম্রাই চোর, মদন চোর, মুকুল চোর? তাতে দেখা গিয়েছিল, সিবিআই পরে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত তালিকার প্রায় সকলকেই গ্রেফতার করেছিল। এবার কয়লা-গরু পাচারের ঘটনায় সেই ভয়ই পাচ্ছেন তৃণমূলের হেভিওয়েটরা। শাসক দলের অনেকের মতেই, এবারও মুখ্যমন্ত্রীর তালিকা মিলে যেতে পারে। শুধু মমতা যে সিরিয়ালে নামগুলি নিয়েছেন সেটা মিলবে কিনা দেখার।
ফের মিলল অনুব্রতর সম্পত্তির হদিশ, কোথায় জানেন?
তৃণমূলের অন্দরে আরও একটি প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে তা হল, আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার রক্ষাকবচ পাচ্ছেন, সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলাতেও পরিবারের বাকি সদস্যদের হলফনামা দিতে বলা হয়েছে। মমতা-অভিষেক এক্ষেত্রেও বাদ। তা হলে রহস্যটা কি? এসব প্রশ্নের মাঝেই মমতাচ্চারিত নেতারা যে ট্রাঙ্ক ভর্তি কাগজপত্র সরিয়ে বুদ্ধিমানের কাজ করেছিলেন তা এদিনের সিবিআই তল্লাশিতে প্রমাণিত হচ্ছে বলে মানছেন তাঁরা। কিন্তু লালার ডায়েরি আর আয়কর রিটার্নে দেওয়া তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে তদন্তকারীরা যা পেয়েছেন, তার কি হবে? সেই প্রশ্নেই কিছু চিন্তায় পুরনো তৃণমূলীরা। যাঁদের নিকেতনে আর শান্তি নেই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours