মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসআইএস সমর্থকদের খোঁজে কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং কেরলের ৬০টি জায়গায় তল্লাশি চালাল জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA Raid)। নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে জোরদার অভিযানে নামল এনআইএ। জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুর এবং কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে গত বছরের যে বিস্ফোরণগুলি ঘটেছিল, তারও তল্লাশি চালানো হচ্ছে এই অভিযানে। উল্লেখ্য, কোয়েম্বাটুরে বিস্ফোরণে জামেজা মুবিন নামে এক সন্দেহভাজন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তাকে ২০১৯ সালে আইএস-এর সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে কেন্দ্রীয় সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। ইঞ্জিনিয়ারিং- এ স্নাতক ছিল ওই জঙ্গি। বিস্ফোরণের পর সেই জঙ্গির বাড়িতে তল্লশি চালিয়ে প্রায় ৭৫ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করে তামিলনাড়ু পুলিশ।
কী জানা গেল?
গতবছরের অক্টোবর মাসে কোয়েম্বাটুরের কোট্টাই ঈশ্বরান মন্দিরের কাছে একটি গাড়িতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ (NIA Raid) হয়। সেই সময় এই ঘটনায় জড়িত অনেকের খোঁজ পায় পুলিশ। জেরা করা হয়েছিল সন্দেহভাজনদের। কোয়েম্বাটুর বিস্ফোরণে ধৃতদের একজন নাকি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছিল যে শ্রীলঙ্কার ইস্টার হামলার সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন এইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল এই হামলার জন্য। ফিরোজ ইসমাইল নামে এক অভিযুক্ত জেরায় জানিয়েছিল যে, কেরলে জেলে গিয়ে সে আজহারুদ্দিন এবং রশিদ আলি নামে দু'জনের সঙ্গে দেখা করে।
আরও পড়ুন: শীতের বিদায় বেলায় ফের পতন তাপমাত্রায়, জানুন আবহাওয়া আপডেট
নভেম্বরে এক রাতে ম্যাঙ্গালুরুতে এক চলন্ত অটোতে বিস্ফোরণ (NIA Raid) ঘটে। ঘটনায় আহত হন অটোচালক ও অটোর যাত্রী। পরবর্তীতে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, অটো রিক্সায় বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শরিক এক আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠির সমর্থক। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বোমা বাঁধত শরিক। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম। জানা যায়, এই বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তের নাম অন্যান্য মামলাতেও জড়িয়েছে। পুলিশের দাবি, ম্যাঙ্গালুরুর পাশাপাশি, মাইসোর ও শিবমোগাতেও বিস্ফোরণের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিল শরিক। গতবছর ১৫ অগস্ট শরিক পালিয়ে প্রথমে কোয়েম্বাটুর ও পরে কেরলে যায়। নাম বদলে ভুয়ো আধারকার্ডও বানায় সে। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে আরও ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
+ There are no comments
Add yours