TET Scam: শুধু প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির পরিমাণ অন্তত ১০০ কোটি! আদালতে আর কী কী জানাল ইডি?

নিয়োগ দুর্নীতির টাকাতেই সপরিবারে বিশ্ব ভ্রমণ মানিকের, অনুমান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের
ed
ed

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রেই দুর্নীতি (TET Scam) হয়েছে অন্তত ১০০ কোটি টাকার। মঙ্গলবার আদালতে এমনই দাবি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। মঙ্গলবার আদালতে রিমান্ড লেটারে ইডি (Enforcement Directorate) দাবি করে, আগামী দিনে তদন্ত এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে এই অঙ্ক বহু গুণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুর্নীতিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, অয়ন শীলরা একই সঙ্গে যুক্ত।

কুন্তলের বিরুদ্ধে চার্জশিট

মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে কুন্তলের বিরুদ্ধে ১০৫ পাতার চার্জশিট পেশ করেন গোয়েন্দারা। সেই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাথমিকের চাকরি বিক্রি করে ১০০ কোটি টাকা তুলেছেন অয়ন শীল। মঙ্গলবার কুন্তলের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছে ইডি। চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগসাজস করে প্রাথমিকে (TET Scam) চাকরি বিক্রি করেছেন অয়ন শীল। ২০১২ ও ২০১৪ সালের টেটে প্রায় ১০০ কোটি টাকার চাকরি বিক্রি করেছেন তিনি। জেরায় একথা কুন্তল জানিয়েছেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

আদালতে মানিক

এদিন মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী শতরূপা ও পুত্র সৌভিককে আদালতে পেশ করে ইডি। রিমান্ড লেটারে ইডি-র তরফে দাবি করা হয়, ধৃত কুন্তল ঘোষের বয়ান থেকে জানা গেছে যে, ২০১২ এবং ২০১৪-র টেট-এ (TET Scam) বহু অযোগ্য প্রার্থীকে পাস করিয়ে দিয়ে, তাঁদের থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন শীল। গোটা বিষয়টা জানতেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এর পাশাপাশি, ইডির আইনজীবী এদিন আদালতে দাবি করেন, মানিক ভট্টাচার্য গোটা পরিবারকে নিয়ে একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। কিন্তু ব্যাঙ্ক থেকে এক টাকাও খরচ হয়নি। ইডির অনুমান নিয়োগ দুর্নীতির (TET Scam) কালো টাকাই এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: থরে থরে সাজানো ওএমআর শিট! অয়নের বাড়িতে মিলল চাকরি পরীক্ষার এই সব উত্তর পত্র

মানিকের জামিনের আর্জি খারিজ

এদিন আদালতে মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী বলেন, "আমার মক্কেল কিছু বলতে চান।" তখন বিচারক বলেন, "আমরা সবাই আইনের ছাত্র। শুনেছি উনি আইন কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। উনি নিশ্চই জানেন, একবার আইনজীবী নিয়োগ করলে আর আদালতে নিজে বলা যায় না। " এদিন শুনানির পরে মানিককে ১৮ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক। শতরূপা এবং সৌভিকের জামিনের আর্জি সংক্রান্ত নির্দেশ বুধবার ঘোষণা করা হতে পারে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles