মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অগাস্ট মাস থেকেই এসএসকেএম-এ ভর্তি হয়ে আছেন কালীঘাটের কাকু। বাইপাস সার্জারির পরে তিনি ভর্তি হন এখানে। বর্তমানে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের অসুখ হিসেবে জানা গিয়েছে, মানসিক স্ট্রেস। বিরোধীরা বলছে, সিবিআই-ইডির হাত থেকে বাঁচতেই এসএসকেএম-কে (SSKM) ব্যবহার করে থাকেন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। তিন মাস যাবৎ বেড দখল করেছেন সুজয়কৃষ্ণ। অথচ ১৮ ঘণ্টা ধরে বেড না পাওয়ার কারণে মৃত্যু হল আখলিমা বেগমের। আবার কোলাঘাটের অসুস্থ সন্ধ্যা পোড়েলকে মাঝরাতে আইসিইউ থেকে স্থানান্তর করা হল জেনারেল বেডে। কারণ কাকু ভর্তি হবেন।
সুজয়কৃষ্ণরা চাইলেই বেড পায়, ১৮ ঘণ্টা বেড না পেয়ে মৃত্যু আখলিমা বেগমের
জানা গিয়েছে, ৭০ বছর বয়সী আখলিমা বেগমকে হাওড়ার জগৎবল্লভপুর থেকে শনিবারে নিয়ই আসা হয়েছিল এসএসকেএম-এ (SSKM)। বুকে ব্যথা হওয়ায় বৃদ্ধার পরিবার চেয়েছিল যে কার্ডিয়লজি বিভাগে চিকিৎসা হোক তাঁর। কিন্তু খোলা আকাশের নিচেই তাঁকে কাটাতে হল ১৮ ঘণ্টা। শনিবার দুপুরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। যে কার্ডিওলজি বিভাগের (SSKM) বেড পেলেন না আখলিমা সেখানেই হার্টের কোনও অসুখ না থাকা সত্ত্বেও ভর্তি করা হয়েছিল রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এবং সেই কার্ডিওলজি বিভাগেই বর্তমানে ভর্তি হয়ে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। আখলিমা বেগমের পরিবার শুধুমাত্র একটি বেডের জন্য ছোটাছুটি করতে থাকেন। কখনও এসএসকেএম-এর জরুরি বিভাগে কারও সঙ্গে কথা বলেন। কখনও কার্ডিওলজি বিভাগে গিয়ে কথা বলেন। তাঁদেরকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে। কোনওরকম রেফার গাইডলাইন না মেনে এসএসকেএম এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে অভিযোগ। ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ থেকে আবার তাঁদেরকে ফিরতে হয় এসএসকেএম-এ। অবশেষে খোলা আকাশের নিচে হাসপাতাল চত্বরেই আখলিমা বেগমের জীবন শেষ হয়ে যায়।
মাঝরাতে সরানো হল সন্ধ্যা পোড়েলকে, বেডে এলেন কাকু
অন্যদিকে শুক্রবারই কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করানোর কথা বলেছিল ইডি, ঠিক তার আগের দিন বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বুকে ব্যাথা শুরু হয় কাকুর। এই সময় কার্ডিওলজি বিভাগে (SSKM) ভর্তি ছিলেন কোলাঘাটের বাসিন্দা সন্ধ্যা পোড়েল। আইসিইউ-এর ১৮ নম্বর বেডে ছিলেন সন্ধ্যা দেবী। বুধবারই তাঁর বুকে অস্ত্রোপচার হয়। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ঘোরে আচ্ছন্ন ছিলেন সন্ধ্যা দেবী, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর ছেলে। কিন্তু কাকু আসছেন বলে বৃহস্পতিবার মাঝরাতেই তাঁকে জেনারেল বেডে স্থানান্তর করে দেয় এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় উঠছে প্রশ্ন। ইডির তদন্তের হাত থেকে বাঁচতে একজন আইসিউতে ভর্তি হবেন! সে কারণে সরানো হবে অসুস্থ রোগীকে!
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours