মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোবট (Robots) দিনের পর দিন আমাদের জীবনের সঙ্গে নানাভাবে জড়িয়ে পড়েছে। রোবট নিয়ে ধারণা বিশ্বের নানা প্রান্তে নানারকম। আর এবারে দেখা গিয়েছে, রোবটকে দেখা যাচ্ছে পুরোহিতের জায়গায়। শুনতে অবাক লাগলেও এটিই সত্যি। যত সময় এগোচ্ছে তত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই চমক দিয়েই চলেছে। এতদিন দেখা গিয়েছে, শিল্পী কিংবা শিক্ষকদের জায়গা ধীরে ধীরে কেড়ে নিচ্ছে রোবট। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, পুরোহিতদের চাকরিও খেয়ে নিতে পারে রোবটরা (Robots)। আর সেই আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে।
কেন এই আশঙ্কা?
২০১৭ সালে ভারতের এক টেকনোলজি ফার্ম একটি রোবটিক আর্ম তৈরি করেছিল। সেই রোবটটি আরতি করতে পারত। যা দেখে চমকে উঠেছিলেন সকলে। কিন্তু এই ব্যাপারটা চমকের মধ্যেই আবদ্ধ ছিল না, পুরোহিতের জায়গায় রোবটের ব্যবহারের পর থেকই শুরু হয় পুরোহিতদের কর্মের জন্য চিন্তা। সেবার গণেশ পুজোর সময় যন্ত্রকে আরতি করতে দেখে দর্শনার্থীরা অবাক ও মুগ্ধ হয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু এর পাশাপাশি শুরু হয় দুশ্চিন্তা।
এই ঘটনার পর থেকেই পরবর্তী সময়ে আরও এমন রোবট (Robots) তৈরি হতে শুরু হয়েছে। এই রোবটগুলো হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের বহু ধর্মাচরণে দক্ষ। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই একে মানুষের বিজ্ঞান আরাধনার নয়া অর্জন বলে মনে করছেন অনেকে। তবে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পুরোহিতরা।
আরও পড়ুন: ‘কোনওভাবেই জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না’, ফের জানালেন শাহ
ধর্ম বনাম এআই
এমন ভাবেই পুরোহিতদের পরিবর্তে পুজোর সময় রোবট (Robots) রাখা হলে পরবর্তী প্রজন্মে পুরোহিতদের কর্মসঙ্কোচনের পথ তৈরি হওয়ার পাশাপাশি ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যে এক বিতর্কেরও সৃষ্টি হবে। ফলে একদিকে কিছু মানুষ যখন মনে করছেন পুজোতে রোবটের ব্যবহার মানব উদ্ভাবনের একটি নতুন দিগন্তের প্রতিনিধিত্ব করে যা সমাজকে উন্নতির দিকে পরিচালিত করবে। অন্যদিকে কিছু মানুষ উদ্বিগ্ন যে রোবটগুলিকে ব্যবহার করা হলে এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি অশুভ লক্ষণ।
প্রসঙ্গত, সব মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়া জুড়েই ধর্মাচরণ ও উপাসনার কাজে রোবটের ব্যবহার যেভাবে বাড়তে শুরু করেছে তাতে খুব শীঘ্রই তা পেশাগত ভাবে পৌরহিত্যের সঙ্গে যুক্তদের সমস্যায় ফেলতে পারে। তবে এখনই এই সমস্যাটা তেমনভাবে দেখা না গেলেও আশঙ্কা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours