মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামে হিন্দুদের (Bangladeshi Hindus) ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানাল ভারত সরকার। এক বিবৃতিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই ধরনের ঘটনা সে দেশের সংখ্যালঘুদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক সাংবাদিক সম্মেলনে বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমরা লক্ষ্য করেছি, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর চট্টগ্রামে ব্যাপক হামলা হয়েছে। তাঁদের সম্পত্তি লুট করা হয়েছে। তাঁদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এই ধরনের ঘটনায় যেন বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার দ্রুত পদক্ষেপ করে এবং উগ্র মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।’’
ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে সমাজমাধ্যমে (Bangladeshi Hindus)
হিন্দুদের (Bangladeshi Hindus) সুরক্ষার জন্য তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা বোঝাই যাচ্ছে যে উগ্র মৌলবাদীরা সে দেশে সমাজ মাধ্যমে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত বাংলাদেশের (Bangladesh) বন্দর শহর হল চট্টগ্রাম। সেখানেই হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে, একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে। ওই পোস্টের মাধ্যমে হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইসকনের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়া হয়। এরপর থেকেই সেখানে উত্তেজনা ছড়ায়। বৃহস্পতিবারই পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে যৌথভাবে সেখানে অপারেশন চালাতে হয়।
শূন্যে গুলি চালায় যৌথবাহিনী
জানা গিয়েছে, চট্টগ্রামের একজন স্থানীয় বাসিন্দা (যার নাম ওসমান) ফেসবুকে দাবি করে, ইসকনকে (Bangladeshi Hindus) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ এবং সেনার যৌথ বাহিনী ১০০ জনেরও বেশি সন্দেহজনকে আটক করেছে। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্র প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, যৌথ বাহিনীর ওই অপারেশনে শূন্যে গুলিও চালানো হয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর সময় বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ ও কালী মন্দির হামলা চালানো হয়েছে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours