মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটের (Gujarat) গির সোমনাথ জেলায় পবিত্র সোমনাথ মন্দিরের কাছে একটি মসজিদ, মাজার এবং একটি কবরস্থান সহ ধর্মীয় স্থান ভেঙে ফেলা হল। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করেই শান্তিপূর্ণভাবে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়।
৭০ জনকে আটক (Gujarat)
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর ৪টে নাগাদ বেআইনি (Gujarat) নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু হয়। তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়। এই কাজের জন্য ৩৬টি জেসিবি নামানো হয়েছিল। ধ্বংসাবশেষ ফেলার জন্য ৭০টি ট্রলি এবং ট্রাক্টর, ৫টি হিতাচি মেশিন, ১০টি ডাম্পার কাজে লাগানো হয়। ২৪ ঘণ্টা একযোগে তারা কাজ করেছে। এই অভিযানের আগে, জেলা কালেক্টর, আইজিপি, তিনজন এসপি, ছয়জন ডেপুটি পুলিশ সুপার, ৫০ জন পুলিশ ইন্সপেক্টর ও সাব-ইন্সপেক্টর সহ ১৪০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। বেআইনি নির্মাণ নির্মাণ ভাঙার সময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। এই অভিযানের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ৭০ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুজোর মুখে মরশুমের প্রথম তুষারপাত সিকিমের ছাঙ্গুতে, কিন্তু পর্যটকরা পৌঁছাবেন কীভাবে?
সোমনাথ মন্দিরে বার বার হামলা
একবার দু'বার নয়। ছ’ছবার ধ্বংস করা হয় এই সোমনাথ মন্দির (Somnath Temple)। তার পরও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে সুপ্রাচীন পবিত্র দেবালয়। যার গর্ভগৃহে এখনও বিরাজমান দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ একটি। ভারতের ইতিহাসে সোমনাথ মন্দিরের (Gujarat) গুরুত্ব অপরিসীম। সুপ্রাচীন এই মন্দির ধ্বংসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে গজনির সুলতান মামুদের নাম। সোমনাথ মন্দিরে ১৭ বার অভিযান চালান সুলতান মামুদ। সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করে দুই কোটি স্বর্ণমূদ্রাসহ প্রচুর ধনসম্পদ হস্তগত করতে পেরেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, এর আগে গুজরাট প্রশাসনের উদ্যোগে বেট দ্বারকা, পোরবন্দর এবং জামনগরের মতো উপকূলীয় স্থানে বেআইনি নির্মাণে ধ্বংস করা হয়েছে। শুধু সরকারি জমি দখল করার জন্যই এই অভিযান নয়, মূলত জমি দখল এবং মাদক পাচার, চোরাচালান এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অন্যান্য হুমকির মতো কার্যকলাপের ঘটনাগুলিকেও নজরদারি করা লক্ষ্য।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours