মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে রাষ্ট্রসংঘের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করতে চেয়েছিলেন ইউনূস। সেই বৈঠক হয়নি।
বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক (S Jaishankar)
তবে মোদি-ইউনূস বৈঠক না হলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বৈঠক হয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, মঙ্গলবার নিউইয়র্কে ওই বৈঠক হয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে জয়শঙ্কর ও তৌহিদ ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে একমত হন। প্রসঙ্গত, হাসিনা-উত্তর জমানায় এই প্রথম দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হল।
Had a meeting with Foreign Affairs Adviser Md. Touhid Hossain of Bangladesh in New York this evening.
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) September 24, 2024
The conversation focussed on our bilateral ties. pic.twitter.com/UNtNyHGHyQ
কী বললেন জয়শঙ্কর
বৈঠক শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় করা এক পোস্টে জয়শঙ্কর বলেন, “আজ সন্ধেয় নিউইয়র্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক হল। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।” বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে বৈঠকের একটি ছবি। সেখানে লেখা হয়েছে, “রাষ্ট্রসংঘের ৭৯তম সাধারণ সভার পাশে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন এবং বাংলাদেশ ও ভারতের পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।” তবে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কোনও কথা হয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই।
🇧🇩Foreign Affairs Adviser, HE Md. Touhid Hossain and 🇮🇳External Affairs Minister, HE @DrSJaishankar, met at #UNGA79 sidelines and discussed issues of mutual interest between #Bangladesh|#India.@IndianDiplomacy @Yunus_Centre @ChiefAdviserGoB pic.twitter.com/gbFomhRS6T
— Ministry of Foreign Affairs, Bangladesh (@BDMOFA) September 24, 2024
আরও পড়ুন: এশিয়ায় তৃতীয় শক্তিশালী দেশ ভারত, বলছে সমীক্ষা
সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের জেরে ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ভারতে চলে আসেন তিনি। বাংলাদেশের রশি যায় অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে, যার প্রধান মহম্মদ ইউনূস। ক্ষমতায় বসেই তিনি বুঝত পারেন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করা ছাড়া বাংলাদেশের কাছে আর কোনও পথ খোলা নেই। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নত করতেই হবে। কারণ বাংলাদেশের চাহিদা ও ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক ও আমাদের মধ্যে অনেক কিছু বিষয়ে মিল রয়েছে। আমাদের একটি পারস্পরিক ইতিহাস রয়েছে। তাই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ছাড়া বাংলাদেশের (Bangladesh) আর কোনও উপায় নেই (S Jaishankar)।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours