RG Kar: খুন-ধর্ষণ মামলাতেও সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ, ধৃত টালা থানার তৎকালীন ওসি’ও

CBI: আরজি করে খুন-ধর্ষণ মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার মোট ৩ জন
Untitled_design(856)
Untitled_design(856)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের একাধিক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এবার ধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হল। একই সঙ্গে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এবং চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দেরিতে এফআইআর রুজু করার অভিযোগ উঠেছে টালা থানার সেই সময়ের ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। তাঁকেও গ্রেফতার করা হয় শনিবার। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে আজ রবিবার সকালে আদালতে হাজির করা হবে। তদন্তকারীদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে ফের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। তাই তাঁকেও রবিবার আদালতে হাজির করানো হবে।

খুন-ধর্ষণ মামলায় মোট গ্রেফতার ৩ (RG Kar)

প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ডে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার ছিল একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। শনিবার আরজি করের খুন-ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার করা হল আরও দুজনকে। অর্থাৎ মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়াল তিন। এই তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে কি না, সেটাই এখন দেখার। শনিবার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির খবর জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে পৌঁছতেও তাঁরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিচারের দাবিতে ধর্নায় বসেছেন তাঁরা। সেখানে নানা রকম স্লোগানও উঠতে দেখা যায়। আরজি করকাণ্ডের ৩৬ দিনের মাথায় প্রাক্তন অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করার ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের একজন বলেন, ‘‘বিচারের দিকে এক পা এগনো গেল। তবে ঘটনার পর ৩৫ দিন কেন সময় লাগল, সেটাও আমাদের প্রশ্ন।’’

আর্থিক দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছেন সন্দীপ

প্রসঙ্গত, আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তাঁর জমানাতে মর্গে মৃতদেহ লোপাট থেকে সেখানে পর্নোগ্রাফি চালানোর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। শুধুমাত্র মৃতদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করেই ২০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে আরজি করে, এমনই দাবি সিবিআইয়ের। অন্যদিকে, ইডিও তেড়েফুঁড়ে নেমেছে এই মামলায়। তারা সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ওষুধ ব্যবসায়ীদের অফিসে-বাড়িতে হানা দিয়েছে। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপ ঘোষের ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত হয়েছে, বর্তমানে তিনি রয়েছেন প্রেসিডেন্সির সংশোধনাগারে।

প্রশ্ন ওঠে টালা থানার সেই সময়ের ওসির বিরুদ্ধে

গত ৯ আগস্ট আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের চারতলার সেমিনার হল থেকে ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে তা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পরে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এই আবহে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর তৎকালীন অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অন্যদিকে, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ অসুস্থ বলে নিজেকে দাবি করে গোটা কলকাতার একাধিক হাসপাতালে ঘুরতে থাকেন। কোনও রোগ তাঁর খুঁজে পাওয়া যায় না। শেষমেশ ৫ সেপ্টেম্বর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। শনিবার দুপুরে সিবিআইয়ের তলব পেয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে যান অভিজিৎ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। টালা থানার এই প্রাক্তন ওসির বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার পর অভিযোগ দায়ের থেকে ময়নাতদন্ত, একাধিক ক্ষেত্রে অভিযোগ রয়েছে এই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে। এবার তাঁকে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)।

 


দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles