মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের ঘটনার রেশ মেলায়নি এখনও। এরই মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বংশীহারীতে তেরো বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই নাবালিকাকে খুন করার চেষ্টাও করেছিলও ওই অভিযুক্ত। যা নিয়ে উত্তাল গোটা জেলা। সোমবার বিকেলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে ওই গ্রামে যান। যদিও নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি।
অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি (Sukanta Majumdar)
গ্রামবাসীদের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে কথা বলেন সুকান্ত। গ্রামবাসীরা সুকান্তর (Sukanta Majumdar) কাছে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি জানান। ওই গ্রাম থেকে বেরিয়ে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান সুকান্ত। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর ঘরে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত। মেয়েটির পাশের ঘরে তার বাবা-মা ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সময় ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রমাণ না রাখার জন্য অভিযুক্ত প্যান্টের দড়ি দিয়ে তাকে খুন করার চেষ্টাও করে বলে দাবি পরিবারের। মেয়েটির গলায় দাগ রয়েছে। তবে মেয়েটির চিৎকারে ছুটে আসেন পরিবার ও প্রতিবেশীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। ওইদিন রাতেই নির্যাতিতাকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় এক বলেন, সাংসদের সঙ্গে আমরা কথা বললাম। আমরা তাঁর কাছে অভিযুক্তর ফাঁসির দাবি জানালাম।
আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যা শুরু, তারাপীঠে দেবীর ভোগে আজ থাকছে বিশেষ পদ
কী বললেন সুকান্ত?
গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার পর সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, "২০২০ সালে শ্লীলতাহানির মামলায় অভিযুক্তকে এর আগেও পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে আবার ধর্ষণের অভিযোগ। নির্যাতিতা কিশোরীর মায়ের কাছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব দেখা করতে যাচ্ছে, দেখা করতে যাচ্ছে ধর্ষকের পরিবারের সদস্যরা। এমনকী পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে কেস তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় একটা ডাক্তারের জীবনের দাম ১০ লক্ষ টাকা দিচ্ছেন। আর যেহেতু এটা একটা ছোট গ্রাম, তাই এখানে একটা জীবনের দাম ৫ লক্ষ টাকা দিতে চাইছেন তৃণমূল নেতারা।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours