মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারের ভিতর কোনও গোপন সু়ড়ঙ্গ রয়েছে কিনা, তা জানতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অনুসন্ধান চালানোর সিদ্ধান্ত নিল মন্দির (Shree Jagannath Temple) পরিচালন কমিটি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অনুসন্ধান কী ভাবে এগোবে, তা স্থির করতে সোমবার জরুরি বৈঠক হয় জগন্নাথ মন্দিরে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পুরীর মহারাজা গজপতি মহারাজ দিব্যসিং দেব।
কীভাবে হবে লেজার স্ক্যানিং
মন্দিরের (Shree Jagannath Temple) মুখ্য প্রশাসক অরবিন্দ পাধি জানান, খনন করতে হবে না, এমন পদ্ধতিতে রত্ন ভান্ডারের গোপন সুড়ঙ্গ বা কুঠুরির খোঁজ করা হবে। এই বিষয়ে রাজ্য প্রশাসন এবং ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই)-এর অনুমতি মিলেছে। তবে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের কাজ শুরুর আগে মন্দির কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন আইআইটি এবং সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কথা বলা হবে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, রহস্যময় রত্নভান্ডারের ভিতরের চিত্রটি বুঝতে ‘লেজার স্ক্যানিং’ করা হতে পারে। এএসআই লেজার স্ক্যান করার জন্য একটি অত্যন্ত অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করবে। পুরো রত্ন ভান্ডারটির সংস্কার করবে এএসআই।
আরও পড়ুন: ভারতেই হাসিনা, বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর কেন্দ্রের, সর্বদল বৈঠকে জয়শঙ্কর
প্রচলিত বিশ্বাস
বেশ কয়েকজন সেবাইত দাবি করছেন পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরের (Shree Jagannath Temple) রত্ন ভান্ডারের ভিতরের কক্ষে একটি গোপন সুড়ঙ্গ আছে। অনেকের ধারনা সেই সুড়ঙ্গ গিয়ে মিশেছে সাগরে। সেখানেই নাকি জগন্নাথ মন্দিরের আসল ধন-সম্পদ লুকোনো আছে। তবে, সুপারভাইজারি প্যানেলের চেয়ারম্যান, বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ জানিয়েছিলেন, এই ধরনের কোনও সুড়ঙ্গের ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই। তিনি বলেছেন, “আমরা কখনই সুড়ঙ্গ তত্ত্ব বিশ্বাস করিনি। এই নিয়ে কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই। আমরা সব ধন-সম্পদ সরিয়ে ভিতরের কক্ষের দেওয়ালগুলি পরীক্ষা করে দেখেছি। কোথাও কোনও সূড়ঙ্গ পাইনি।” রত্ন ভান্ডারের ভিতর এবং বাহির ভান্ডারের আলমারি এবং সিন্দুকগুলি সরানোর বিষয়েও এদিন আলোচনা হয়। এই বিষয়ে কী বিধি মেনে চলা হবে, তার একটি খসড়া তৈরি করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ওড়িশা সরকারের কাছে পাঠিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours