Rahul Gandhi: জানেন কীভাবে বাইডেন ঘনিষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছিলেন রাহুল?

Rahul in US: ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের উচ্চপদস্থদের সঙ্গে আলোচনা রাহুলের
parliament_-_2024-08-03T213517975
parliament_-_2024-08-03T213517975

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার কয়েকজন কুটনীতিক ও কয়েকটি গোষ্ঠীর দ্বারা চালিত হন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। রাহুল সম্প্রতি পার্টির বিদেশী ইউনিট, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেস (IOC) থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপ সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। আইওসি আহ্বায়ক রাজবিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বে একদল এনআরআই এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে বলেন খবর। যদিও কংগ্রেসের (Rahul in US) তরফে এই বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। সম্প্রতি ওপিইন্ডিয়া একটি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনে জানায়,২০২৩ সালে রাহুল তাঁর শেষ মার্কিন সফরের সময় হোয়াইট হাউজে 'গোপন' বৈঠক করেছিলেন। বহু গণ্য মান্য মার্কিনদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন তিনি। যদিও কংগ্রেসের তরফে এই খবর অস্বীকার করা হয়।

রাহুল গান্ধীর  সফর (Rahul Gandhi)

রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আলোচনার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন সীমা সিরোহি। তাঁর কথায়, "হোয়াইট হাউসের বৈঠকটি গোপন রাখার ক্ষেত্রে মত দিয়েছিল দুই পক্ষই। রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা সামনে আনতে চায়নি মার্কিন প্রশাসন। আর রাহুলও বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে অস্বস্তিত্ পড়তে চাননি।" সীমা আরও জানান, তাঁকে এই বৈঠকের কথা বলেছিল, কংগ্রেস নেতা প্রবীণ চক্রবর্তী। যদিও প্রবীণ পরে এই বৈঠকের কথা অস্বীকার করেন। প্রবীণ বলেন, "হোয়াইট হাউসে কোনও গোপন বৈঠক হয়নি।" তবে, রাহুল গান্ধী তাঁর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় সেনেটর এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, এর আরও অনেক প্রমাণ রয়েছে। 

ডিপ স্টেটের ভূমিকা (Rahul in US) 

সম্প্রতি ওপিইন্ডিয়া ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদা এবং তার সন্দেহজনক এনজিও, গ্লোবাল নলেজ ইনিশিয়েটিভ সম্পর্কে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই সংস্থা মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং রকফেলার ফাউন্ডেশন থেকে অর্থ পায়। এনজিওটি স্যাম পিত্রোদা, রকফেলার ফাউন্ডেশনের বর্তমান ভিপি এবং মার্কিন সরকারের (Rahul in US) প্রাক্তন উপদেষ্টা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। এতেই বোঝা যায় যে, কংগ্রেস মার্কিন ডিপ স্টেটের সাথে সমঝোতায় রয়েছে। রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বরাবর ভারতে কোনও কাজের জন্য বিদেশী হস্তক্ষেপের দাবি করেন। যা আত্মনির্ভর ভারতের বিপরীত। এই প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পর, কংগ্রেস নেতা প্রবীণ চক্রবর্তী ওপিইন্ডিয়াকে হুমকি দেন। প্রবীণ চক্রবর্তী দাবি করেন যে হোয়াইট হাউসের “গোপন” বৈঠকের খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। আসলে কংগ্রেস বুঝতে পারে এই খবর প্রকাশ্যে এলে তাদের সমস্যায় পড়তে হবে। এই ধরনের বৈঠক ভারতের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। প্রবীণ প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিরোধিতা করলেও কোনও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেননি। তিনি রিপোর্টে উল্লেখিত অন্য কোনও লিঙ্ককে অস্বীকার করেননি। তিনি মার্কিন ডিপ স্টেটের সাথে স্যাম পিত্রোদা এবং রাহুল গান্ধীর সম্পর্ক নিয়েও কোনও প্রশ্ন তোলেননি।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles