Bharatiya Nyaya Sanhita: ১ জুলাই থেকে চালু ন্যায় সংহিতা, সংসদে ঘোষণা রাষ্ট্রপতির

Droupadi Murmu: "শাস্তির বদলে ন্যায়ে বিশেষ জোর", ন্যায় সংহিতা নিয়ে কী বললেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু?
parliament_-_2024-06-27T170603755
parliament_-_2024-06-27T170603755

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশে ১ জুলাই থেকে চালু হবে ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita)। বৃহস্পতিবার সংসদের উভয় সভার যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। সেখানেই এই ঘোষণা করেন তিনি। অষ্টাদশ লোকসভা গঠনের পর এটিই সংসদে রাষ্ট্রপতির প্রথম ভাষণ। তিনি জানান, ব্রিটিশ শাসনে গোলামি ব্যবস্থায় যে শাস্তির বিধান ছিল এবার তা ঘুচবে। শাস্তির বদলে ন্যায়ে বিশেষ জোর দেওয়া হবে।

কী বললেন রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতির কথা অনুযায়ী,  আগামী জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে ১৮৬০ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি) প্রতিস্থাপিত হল ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ দিয়ে। ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ (ফৌজদারি দণ্ডবিধি) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ দিয়ে এবং ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ (ভারতীয় সাক্ষ্য আইন) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য আইন’-এ। রাষ্ট্রপতি (Droupadi Murmu) এদিন বলেন, "১ জুলাই থেকে ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita) চালু হবে। ব্রিটিশরাজে গোলামি ব্যবস্থায় শাস্তির বিধান ছিল। সেই আইন বদলের সাহস দেখিয়েছে সরকার। এবার শাস্তির (New Criminal Law) বদলে ন্যায়ে বিশেষ জোর দেওয়া হবে।"

ন্যায় সংহিতা কী

উল্লেখ্য, ১৮৬০ সালে ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রবর্তন করেন। স্বাধীনতার ৭৫ বছর সেই আইনে বদল আনা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দণ্ড সংহিতার এই নয়া আইন সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে আরও কড়া হতে চলেছে। এছাড়াও গণপিটুনি, জাতীয় সুরক্ষাকে লঙ্ঘন সংক্রান্ত অপরাধে কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি আসতে চলেছে এই নয়া আইনের হাত ধরে। এর ফলে ভারতীয় আইন ব্যবস্থা থেকে পুরোপুরি মুছে যাবে ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া নিয়মগুলি।

আরও পড়ুন: বালিকা বধূ রূপা এখন ডাক্তার! মাত্র ৮ বছরে বিয়ে, দুই সন্তানের মা অবশেষে স্বপ্নপূরণ

নারী-সুরক্ষায় জোর 

নতুন তিন আইনে (New Criminal Law) একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। কিছু নিয়মে বদলও আনা হয়েছে। মহিলা এবং শিশুদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধগুলির ক্ষেত্রে আরও কঠোর সাজার বিধান থাকছে নতুন আইনে। নয়া আইনে ১৮ বছরের কমবয়সি মহিলাকে ধর্ষণের সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড অথবা আজীবন কারাদণ্ড। গণধর্ষণের ক্ষেত্রে ২০ বছর থেকে আজীবন জেলের সাজার কথা বলা হয়েছে। এমনকি, মহিলাদের হার বা মোবাইল ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার বিচারের জন্য রয়েছে নয়া আইন। যৌন হিংসার মামলার ক্ষেত্রে নির্যাতিত মহিলার বয়ান তাঁরই বাড়িতে এক জন মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নথিবদ্ধ করার কথাও জানাচ্ছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita)। বিয়ে বা চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অপরাধের জন্য ১০ বছরের সাজার কথা বলা হয়েছে এতে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles