মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সারগাছির ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবমাননাকর মন্তব্য করার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ সফরে এসে এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন। এই মন্তব্যের জন্য কার্তিক মহারাজের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রবিবার তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদও মহারাজের পাশে দাঁড়ালেন। অন্য সাধু-সন্তরাও কার্তিক মহারাজকে সঙ্গে নিয়ে ধিক্কার সভা এবং প্রতিবাদ মিছিল করেছেন।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? (Murshidabad)
শনিবার এক নির্বাচনী সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,' সব সাধু সমান নয়। বহরমপুরের (Murshidabad) একজন মহারাজ আছেন। কার্তিক মহারাজ। আমি শুনেছি উনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেব না। তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তিনি সরাসরি রাজনীতিকরছেন। দেশের সর্বনাশ করছেন। আমি চিহ্নিত করেছি কে কে করছেন।'
বহরমপুরে ধিক্কার মিছিলে সাধু-সন্তরা
সোমবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতায় বহরমপুরে (Murshidabad) মিছিল করেন সাধু-সন্তরা। মিছিলে হাজির ছিলেন কার্তিক মহারাজ। রবিবার ধিক্কার জানিয়ে বেলডাঙায় মিছিল করেন কার্তিক মহারাজের ভক্তরা। ভারত সেবাশ্রম সংঘের উদ্যোগে একটি ধিক্কার মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। কার্তিক মহারাজ বলেন, আমি কোনও নির্দিষ্ট দলের এজেন্ট বসতে দিইনি এমন কোনও প্রমাণ মুখ্যমন্ত্রী দেখাতে পারলে যে শাস্তি দেবেন মেনে নেব। সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমার সখ্যতা রয়েছে। সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের তরফে যখন বিবৃতি জারি করে তৃণমূলকে ভোট দিতে বলা হয় তখন মুখ্যমন্ত্রী চুপ করে থাকেন কেন?
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত, সপ্তাহভর বৃষ্টির পূর্বাভাস বাংলায়, কী বলছে হাওয়া অফিস?
কার্তিক মহারাজের পাশে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ
মুখ্যমন্ত্রীর লাগাতার আক্রমণের মধ্যেই কার্তিক মহারাজের পাশে দাঁড়াল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সাংবাদিক বৈঠক করে কার্তিক মহারাজকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানান পরিষদের দক্ষিণবঙ্গ শাখার সম্পাদক চন্দ্রনাথ দাস। ইসকনকে জমি দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তার বিরোধিতা করেছে ইসকন মায়াপুর। ইসকন মায়াপুরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, 'সচেতন মানুষ যার যেখানে উচিত মনে হয় সেখানে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এব্যাপারে কেউ হুইপ দিতে পারে না। এই ধর্মীয় সংগঠনের ব্যাপারে রাজনৈতিক উদ্দেশে কেউ কিছু না বলাই শ্রেয়।' বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা চন্দ্রনাথ দাস বলেন, 'হিন্দু অরাজনৈতিক সংগঠনগুলিকে রাজনীতির প্রাঙ্গনে সংমিশ্রণ করে যে জঘন্য রাজনীতির আমদানি করেছেন তা অবাঞ্ছিত ও অশোভনীয় কার্যকলাপ হিসাবে গন্য হওয়া উচিত।'
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours