West Nile fever: ওয়েস্ট নাইল ফিভারে কাবু কেরল! কীভাবে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ? জানুন এই রোগের লক্ষণ

Kerala: স্বাস্থ্য বিভাগের মতে এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে মারাত্মক স্নায়বিক রোগের সৃষ্টি করে
WhatsApp_Image_2024-05-09_at_1143.33_AM
WhatsApp_Image_2024-05-09_at_1143.33_AM

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি এক ভাইরাল জ্বরের (West Nile fever) ভাইরাস কাবু করেছে দক্ষিণ ভারতের কেরালার বেশ কিছু মানুষজনকে। তবে মশার কামড়ে সৃষ্ট এই রোগ পরিচিত ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়া নয়। জানা গিয়েছে, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস থেকে সৃষ্ট এই রোগ বিশেষত দেখা গিয়েছে কেরলের কোঝিকোড়, ত্রিশূর এবং মালাপ্পুরাম এলাকায়। 

ইতিমধ্যেই কেরলে (Kerala) ওয়েস্ট নাইল ফিভারের (West Nile fever) একাধিক কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। এই রোগে সংক্রমিত ব্যক্তিদের পরীক্ষার নমুনাগুলি পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বর্তমানে সকলেই চিকিৎসার পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।  

ওয়েস্ট নাইল ফিভার আসলে কী? (West Nile fever)

ওয়েস্ট নাইল ফিভার হল ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস (West Nile virus) দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। ভাইরাসটি সাধারণত আফ্রিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য,‌ উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম এশিয়ার পাওয়া যায়। কেরালা রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের মতে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস মানুষের মধ্যে একটি মারাত্মক স্নায়বিক রোগের সৃষ্টি করে। বেশিরভাগ সময়ে এই রোগের কোন উপসর্গ দেখা যায় না।  

ওয়েস্ট নাইল ফিভারের উৎপত্তি 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসটি ফ্ল্যাভিভাইরাস গোষ্ঠীর সদস্য এবং এটি ফ্ল্যাভিভিরিডি পরিবারের জাপানিজ এনসেফালাইটিস অ্যান্টিজেনিক কমপ্লেক্সের অন্তর্গত। ১৯৩৭ সালে প্রথম এই ভাইরাস উগান্ডায় পাওয়া যায়। এরপর ২০১১ সালে কেরলে (Kerala) ওয়েস্ট নাইল ফিভারের (West Nile fever)  প্রথম কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে, মালাপুররামের একটি ছয় বছর বয়সী একটি ছেলে এই রোগে মারা গিয়েছিল। ২০২২ সালে, ত্রিশুর জেলার একজন ৪৭ বছর বয়সী ব্যক্তিও এই ভাইরাস থেকে মারা গিয়েছিলেন।

ওয়েস্ট নাইল ফিভারের লক্ষণ

এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত বেশিরভাগ মানুষই উপসর্গবিহীন। অনেক ক্ষেত্রে সংক্রামিত মশার কামড় থেকে এই ভাইরাস ছড়ায়। ওয়েস্ট নাইল ফিভারের (West Nile fever) লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, শরীরে ব্যথা, বমিভাব, মাঝে মাঝে ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া। তবে এই ভাইরাসে সংক্রমণ গুরুতর হলে উচ্চ জ্বর, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, কোমা, কম্পন, খিঁচুনি, পেশী দুর্বলতা এবং পক্ষাঘাতের লক্ষণ দেখা দেয়। লক্ষণগুলি সাধারণত ৩ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে স্থায়ী হয়। 

আরও পড়ুন: জাল আধার কার্ড বানিয়ে কেরলে রয়েছে ৫০ হাজার অনুপ্রবেশকারী!

ওয়েস্ট নাইল ফিভারের চিকিৎসা

এই ভাইরাসে সংক্রমণ ঘটলে যে কোনও বয়সের মানুষের মধ্যে গুরুতর অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। বিশেষত ৫০ বছরের বেশি বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই জ্বরে আক্রান্ত হলে গুরুতরভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস (West Nile virus) দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের জন্য কোনও ভ্যাকসিন এখনও তৈরি হয়নি। এই রোগে হাসপাতালে ভর্তি হলে রোগীকে মূলত স্যালাইন, অক্সিজেন দিয়েই প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles