মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’কে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। লালু-রাবড়ির জমানাকে তিনি ‘জঙ্গল-রাজ’ বলেও অভিহিত করেন। বিহারের কাটিহারে একটি নির্বাচনী প্রচারে যোগ দিয়েছিলেন শাহ।
‘পরিবারবাদ’কেও নিশানা
তিনি বলেন, “দরিদ্রদের জীবনে পরিবর্তন এনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।” এদিনের জনসভায় ‘পরিবারবাদ’কেও নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরিবারবাদকে ধ্বংস করেছেন। তিনি বর্ণভেদের অবসান ঘটিয়েছেন। ইতি টেনেছেন তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের মানোন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছেন তিনি। আজ লালু যাদব ও কংগ্রেস যৌথভাবে বিজেপি ও জনতা দল ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে পড়েছে।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “আপনারা স্মরণ করতে পারেন লালু-রাবড়ির জমানার কথা। তখন বিহার জঙ্গলরাজে পরিণত হয়েছিল। আজ তিনি (লালু যাদব) কংগ্রেসের হাত ধরেছেন। আমি তাঁকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, এই কংগ্রেস পার্টিই পিছড়েবর্গের বিরোধিতা করেছিল। কাকাসাহেব কালেলকর কমিশনের রিপোর্ট চেপে দিয়েছিল। কেবল তাই নয়, এরা বিরোধিতা করেছিল মণ্ডল কমিশনের রিপোর্টেরও।”
আরও পড়ুন: "বাড়িতে পুরুষ না থাকলে মেয়েদের হাত ধরে টানাটানি করে তৃণমূল কর্মী", বললেন নির্যাতিতা
ডাবল ইঞ্জিন সরকার
শাহ বলেন, “গরিব, পিছড়েবর্গ এবং ওবিসিরা প্রত্যেকেই নৃশংসতার শিকার। এনডিএ সরকার যখন থেকে কেন্দ্রের ক্ষমতায় এসেছে, নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, তার পর থেকেই বন্ধ হয়েছে নৃশংসতা।” তিনি বলেন, “নীতীশজি রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু ইন্ডি জোট বিহারকে সেই লণ্ঠনের যুগে নিয়ে যেতে চাইছে। তারা ওবিসির বিরোধিতা করছে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস এবং লালু যাদব সত্তর বছর ধরে ৩৭০ ধারা এড়িয়ে চলছিলেন। আর উনিশের অগাস্ট মাসে মোদিজি এই ধারা রদ করেন।” শাহ বলেন, “মোদিজি নক্সালিজম শেষ করেছেন। সন্ত্রাসবাদকে দুরমুশ করে দিয়েছেন। এক সময় দেশে ইউপিএ সরকার ছিল। সেই জমানায় পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদীরা প্রায়ই এদেশে আসত, এখানে বিস্ফোরণ ঘটাত।” তিনি বলেন, “উরি এবং পুলওয়ামায় আক্রমণের দশ দিনের মধ্যেই মোদিজি সার্জিক্যাল এবং এয়ারস্ট্রাইক করেছেন। ভেঙে দিয়েছেন সন্ত্রাসবাদের মেরুদণ্ড।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “বিজেপিই প্রথম ওবিসি নেতা, যাঁকে বিজেপি প্রধানমন্ত্রী পদে বসিয়েছেন।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours