মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court) স্বস্তি পেলেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। ইডির এই গ্রেফতারিকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে ইডির কাছে রিপোর্ট তলব করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ এপ্রিল। সেই দিনই রিপোর্ট জমা দিতে হবে ইডিকে।
কী বললেন কেজরির আইনজীবী? (Supreme Court)
এদিন কেজরির মামলাটির শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে। সওয়াল করতে গিয়ে কেজরিওয়ালের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, “আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির আর্জি জানাচ্ছি। ইডির গ্রেফতারি ছিল নির্বাচনী প্রচার থেকে কেজরিওয়ালকে দূরে রাখার জন্য।” এত তাড়াতাড়ি শুনানির তারিখ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, এবার লোকসভা নির্বাচন হবে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল। দিল্লিতে নির্বাচন হবে এক দফায়, ২৫ মে। শেষ দফার নির্বাচন হবে ১ জুন।
আরও পড়ুুন: বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্রে’ করা হয়েছে কোন কোন সঙ্কল্প, জানেন?
কেজরিওয়ালই মূল চক্রী!
আবগারি নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকেই মূল চক্রী হিসেবে দেখিয়েছে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগও করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। সেই কারণেই ইডির গ্রেফতারিকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে তিনি যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন, তা ধোপে টেকেনি বলে ধারণা আইনজ্ঞ মহলের। সুপ্রিম কোর্টের আগে কেজরিওয়াল গিয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টে। সেখানেও স্বস্তি না মেলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী দ্বারস্থ হন শীর্ষ আদালতে। সেখানেও হল না সুরাহা। তাই আপাতত পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত লকআপেই থাকতে হচ্ছে আপ সুপ্রিমোকে।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে কেজরিওয়ালের আইনজীবীর দাবি ছিল, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন লাগু হয়ে গিয়েছে আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি। তাই তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তার পরেও (Supreme Court) অবশ্য মেলেনি জামিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours