মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুমকির-চিঠির ইস্যুতে এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। রবিবার পাক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার হুমকি চিঠি পেয়েছিলেন এই বনগাঁর বিদায়ী বিজেপি সাংসদ (Shantanu Thakur)। সোমবার দুপুরে চিঠির বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন তিনি। চিঠিটি দেগঙ্গা (Deganga) থেকে পাঠানো হয় বলে জানা গিয়েছে। এবার ওই চিঠি নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন তিনি।
কী বললেন শান্তনু (Shantanu Thakur)?
মঙ্গলবার বিকেলে শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) বলেন, “এই হুমকি চিঠির ইস্যুতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও (PM Modi) বিষয়টি জানিয়েছি। আমি এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ সিবিআই তদন্ত চাই। পাশাপাশি ওই হুমকি চিঠির অভিযোগ নিয়ে রাজ্য পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি, জেলা পুলিশ সুপার ও স্থানীয় থানার ওসিকেও চিঠি পাঠিয়েছি।”
হুমকির চিঠিতে কী লেখা ছিল?
প্রসঙ্গত, সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Union Minister) শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) কাছে একটি চিঠি আসে। সেই চিঠিতে লেখা ছিল, “শ্রদ্ধেয় শান্তনু বাবু। আশা করি ভালো আছেন। যাই হোক আপনাকে জানাচ্ছি যে পশ্চিমবঙ্গে যদি এনআরসি (NRC) এবং সিএএ-র ফলে যদি মুসলমানদের ওপর কোনও রকম অত্যাচার হয়, তাহলে গোটা বাংলা তথা সমগ্র ভারত জ্বলবে এবং আপনাদের ঠাকুরবাড়ি (Matua Thakurbari) উড়িয়ে দেওয়া হবে। কেউ আপনাদের ঠাকুরবাড়িকে বাঁচাতে পারবে না। লস্কর-ই-তৈবার নাম শুনেছেন তো? আমরা লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। আপনাদের হাফিজ সইদের নির্দেশ মত আমরা পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি লাগু করলে সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করে দেব।”
আরও পড়ুনঃ “ডিসেম্বরেই ভেঙে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস”, ভোট প্রচারে বললেন অভিজিৎ
৫ এপ্রিল শুক্রবার চিঠি আসে
চিঠির প্রেরক হিসেবে নজরুল ইসলাম, সাহেব আলী ও ফজর আলীর নাম লেখা এবং ঠিকানা হাদিপুর, দেগঙ্গা, উত্তর ২৪ পরগনা উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিটি যথেষ্ট সন্দেহজনক। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে টাইপরাইটারে টাইপ করা হয়েছে। ৫ এপ্রিল শুক্রবার এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। যদিও চিঠির ভিতর ৭ ফেব্রুয়ারি উল্লেখ করা আছে। উল্লেখ্য মতুয়া মহাসংঘের অন্যতম প্রধান মুখ হলেন শান্তনু ঠাকুর। আচমকা লোকসভা নির্বাচনের আগে শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) কাছে লস্কর-ই-তৈবার নাম করে এই হুমকি চিঠি ঘিরে ইতিমধ্যেই বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours