মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাল নথি দিয়ে সিম কার্ড বানানোর একটি বড় চক্র রাজ্য জুড়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ বা স্পেশাল টাস্ক ফোর্স হানা দিয়ে মুর্শিদাবাদ ও হুগলি জেলার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, জাল নথির সাহায্যে শ'য়ে শ'য়ে সিম কার্ড বানিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে হোয়াটসঅ্যাপে ওটিপি পাচার করা হত। এই সব সিম কার্ড দিয়ে প্রতারকরা প্রতারণা (Fraud) করত বলে তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারণা।
বহু ভুয়ো সিমকার্ড উদ্ধার (Fraud)
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার সীমন্তবর্তী এলাকা তো বটেই, সেই সঙ্গে জেলার সদর বহরমপুরেও জাল নথি দিয়ে সিম কার্ড বানানোর একটি বড় চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কিছু যুবক সামনে সিম কার্ড, মোবাইলের দোকান কিংবা অনলাইনে ব্যবসা খুলে আড়ালে চালাচ্ছে জালিয়াতির ব্যবসা। আর ভুয়ো সিম কার্ড দিয়ে চলত প্রতারণা (Fraud)। মুর্শিদাবাদ ও হুগলির বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দেয় এসটিএফ। মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া থানা এলাকা থেকে নইমুল ইসলাম ও আবদুল আজিমকে, ভগবানগোলা থানা এলাকা থেকে কাওশার শেখ এবং দৌলতাবাদ থানা এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ কামরুজ্জামান ও দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় মুর্শিদাবাদ থানার গুধিয়া এলাকার বাসিন্দা আস্তিক মণ্ডল এবং হুগলির জাঙ্গিপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় সুরেশ দে এবং রমেশ জানাকে। ধৃতরা প্রত্যেকেই জাল নথি দিয়ে সিম কার্ড বানাত বলে পুলিশের দাবি। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কয়েকশো ভুয়ো সিম কার্ড, বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন, জাল নথি-সহ একাধিক বৈদ্যুতিন যন্ত্র।
হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ও ওটিপি ব্যবহার করে প্রতারণা!
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যন্ত্র দিয়ে যেমন জাল নথি বানানোর কাজ করা হত, তেমনই ওটিপি পাচার করা হত দেশের বাইরে। ধৃতরা দেশে ও বিদেশের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ও ওটিপি ব্যবহার করে প্রতারণার (Fraud) কাজ করত বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ওই জালিয়াতির সঙ্গে দেশের গোপন তথ্যপাচার করা হত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours