মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন রয়েছে ৮ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু প্রার্থীদের (Pakistani Hindus) নানাভাবে লক্ষ্য বানানো হচ্ছে বলে খবর মিলেছে। সংখ্যালঘু হিন্দুদের উদ্দেশ্যে নানা ঘৃণামূলক প্রচারও করা হচ্ছে। ইসলামের খুব পরিচিত শব্দ রয়েছে ফতোয়া, সেই ফতোয়া জারি করা হচ্ছে ফেসবুক এবং ট্যুইটারের মাধ্যমে। সেখানে ভোটারদেরকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে মুসলিম প্রার্থীদেরকেই ভোট দিতে, যেখানে যেখানে সংখ্যালঘু হিন্দু প্রার্থী রয়েছে সেই আসনগুলিতে।
কোন কোন সংগঠন ফতোয়া জারি করছে
জানা গিয়েছে, হিন্দুদের (Pakistani Hindus) উপর ফতোয়া যারা জারি করছে এমন সংগঠনগুলির মধ্যে রয়েছে জামিয়া উলেমা ইসলামিয়া। অন্য একটি সংগঠন রয়েছে নিউ টাউন নামে। যা সেখানে পরিচিত জামিয়া বিনোরি টাউন নামে। এই সংগঠনটি সেদেশে গুরু মন্দিরের একটি অঞ্চলে অবস্থিত। তারাও একইভাবে ফতোয়া জারি করছে বলে জানা গিয়েছে। সেদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নতুন কিছু নয়। সারা বছরেই পাক হিন্দুদের অত্যাচারের খবর শিরোনামে থাকে। এরই মাঝে এবার হিন্দু রাজনীতিবিদদের বয়কটের আওয়াজ উঠল পাকিস্তানে (Pakistani Hindus)। পাকিস্তান সত্যিই হিন্দুদের কাছে বধ্যভূমি হয়ে উঠেছে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কী বলছেন পাকিস্তানের হিন্দু নেতা
ধর্মীয়ভাবে মুসলিম প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য সে দেশের জনগণের উপর প্রভাব তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর মিলেছে। হিন্দু সংখ্যালঘুদের অধিকারের দাবিতে লড়াই করেন সে দেশের চমনলাল। তিনি একটি ছবি নিজের সমাজ মাধ্যমের পাতায় শেয়ার করেছেন এবং সেখানে তিনি লিখেছেন, "কিভাবে ফতোয়া জারি করা হচ্ছে। সে দেশের ১০ লাখ সংখ্যালঘুর কাছ থেকে ভোটে পাওয়ার আবেদন পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলি রাখছে কিন্তু কোনও সংখ্যালঘু হিন্দু প্রার্থী (Pakistani Hindus) যাতে জিততে না পারে সে বিষয়ে ফতোয়াও জারি করা হচ্ছে।" তাঁর আরও সংযোজন, "যেখানে পাকিস্তানের সংবিধান আমাদেরকে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমান অধিকার দিয়েছে। সেখানে এই ধরনের বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours