মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:বৃহস্পতিবার রাম মন্দির (Ram Mandir) নিয়ে তৈরি করা ডাকটিকিট প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পাশাপাশি একটি বইও প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দেখা যাচ্ছে ওই বইয়ে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভগবান রামের উপর যা যা ডাকটিকিট তৈরি হয়েছে সেগুলি সবই স্থান পেয়েছে। এই সব ডাকটিকিটের নকশায় স্থান পেয়েছে, রাম মন্দির, চৌপাই ‘মঙ্গল ভবন অমঙ্গল হরি’, সূর্য, সরযূ নদী এবং মন্দিরের চারপাশে ভাস্কর্য। এককথায় গোটা রামায়ণের উল্লেখযোগ্য চরিত্ররাই স্থান পেয়েছে এই ডাকটিকিটে। এদিন ডাকটিকিট প্রকাশের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবিষয়ে এক ভিডিও বার্তাও দেন। সেখানে তিনি বলেন যে ডাকটিকিটের মাধ্যমেই বিচার ও ইতিহাস এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে যায়।।
২০ দেশের ডাকটিকিট নিয়ে তৈরি ৪৮ পাতার বই
এছাড়াও রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ৬টি ডাকটিকিট প্রকাশ করেন। সেগুলিতে ব্যবহার করা হয়েছে অযোধ্যার মাটি এবং সরযূর জল। তাতে রয়েছে বিভিন্ন দেবদেবী। ডাকটিকিটগুলিতে ছবি রয়েছে, রাম মন্দির, ভগবান গণেশ, ভগবান হনুমান, জটায়ু, কেভাত্রাজ এবং মা শাবরির। জানা গিয়েছে, ডাকটিকিটেপ বইটি মোট ৪৮ পাতার হয়েছে এবং তাতে ২০টি দেশের রাম সম্পর্কিত ডাকটিকিটগুলি স্থান পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, কানাডা, কম্বোডিয়া প্রভৃতি দেশের ডাকটিকিট রয়েছে।
কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?
প্রসঙ্গত ডাকটিকিট প্রকাশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘‘পোস্টাল স্ট্যাম্প বিচারধারা, ইতিহাস এবং ঐতিহাসিক ঘটনাগুলিকে পরের প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। আজ এই স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়েছে। এই টিকিটে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) ছবি রয়েছে। রাম ভক্তির ভাবনা রয়েছে। আর মঙ্গল ভবন, অমঙ্গল হরির মত লোকপ্রিয় চৌপায়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রের মঙ্গলকামনা রয়েছে। আমাদের পঞ্চভূতের যে দর্শন আছে, ভগবান রামের মাধ্যমে সেই দর্শনকে দেখানো হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, আগামী ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। প্রধানমন্ত্রী মোদি অযোধ্যায় পা রাখবেন ২১ জানুয়ারি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours