মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ভগবান রামের যারা বিরোধিতা করত, মোদি জমানায় তারাই রামের ভজন (Ram Mandir) শুরু করেছে।’’, শনিবার ঠিক এই ভাষাতেই ভণ্ড ধর্মনিরপেক্ষদের একহাত নিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শনিবারই প্রতিরক্ষামন্ত্রী হাজির ছিলেন বলবীর পুঞ্জের লেখা একটি বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। সেখানেই এই কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে।
আরও পড়ুন: ‘‘রাম নয়, ওরা ভালোবাসে বাবরকে’’, কংগ্রেসকে তোপ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার
রাম বিরোধীরাও করছে রামের নাম
শনিবার রাজনাথ সিং বলেন, ‘‘এই দেশে কিছু মানুষ ছিলেন যাঁরা ভগবান রামের অস্তিত্ব (Ram Mandir) সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতেন। তাঁর প্রশ্ন তুলেছিলেন ভগবান রামের জন্মভূমি নিয়েও। সেই সমস্ত মানুষগুলিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে কিছু মানুষ রামের ভজনা শুরু করেছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বড় সাফল্য যে ভগবান রামচন্দ্রের অস্তিত্ব সম্পর্কে যাঁরা প্রশ্ন তুলতেন, তাঁরাই আজ বাধ্য হয়ে রামের ভজন করছেন।’’
মর্যাদা পুরুষোত্তম রামচন্দ্র
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘‘রামজন্মভূমি (Ram Mandir) নিয়ে ৫০০ বছরের সংঘর্ষের পরে সুবিচার পাওয়া গিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এটাই ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক পুনরুত্থানের সময়। রাম মন্দিরের উদ্বোধন দেশের জাতীয় গর্বকে প্রতিষ্ঠিত করবে। সারা ভারতের চেতনা হল রাম এবং অযোধ্যা হল তার নিউক্লিয়াস। ৫০০ বছরেরও বেশি এই সংঘর্ষে আমরা জিতেছি এবং প্রভু রামের জন্মস্থানকে অনেক ষড়যন্ত্রের পরেও ছিনিয়ে নেওয়া যায়নি।’’ রাম মন্দিরের (Ram Mandir) নির্মাণ দেশে তোষণের রাজনীতিকেও শেষ করবে বলে জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ভগবান রামচন্দ্রকে কেন মর্যাদা পুরুষোত্তম বলা হয়, সে বিষয়েও তিনি নিজের মত রাখেন। তিনি বলেন, ‘‘রামচন্দ্র (Ram Mandir) একজনই কিন্তু তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি অনেক ছিল। তিনি সমস্ত জাতি, বর্ণ, ধর্মের উর্দ্ধে ছিলেন। এমন একজন প্রজাপালক রাজা যিনি মানুষ থেকে পশু সকলের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রাখতেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours