Siliguri: মমতাকেও ‘ডোন্ট কেয়ার’! তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে দেড় মাসের ওপর বন্ধ চা বাগান

চা বাগানে দাপট দেখাচ্ছেন তৃণমূল নেতা, কাজ হারালেন শ্রমিকরা
Siliguri_(14)
Siliguri_(14)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের শ্রমিক নেতার দাদাগিরিতে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে ত্রিহানা চা-বাগান। খোদ চা বাগানের মালিক ঘনশ্যাম কাঙ্কানি বিস্ফোরক এই অভিযোগ করেছেন। শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার এটি তরাইয়ের অন্যতম পুরানো ও বড় চা বাগান। মালিকের এই অভিযোগে ধাক্কা খাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক বন্ধ চা-বাগান খোলার দাবি।

 ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Siliguri)

চা বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, সর্বসম্মতিক্রমে ১৮ শতাংশ পুজোর বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু, আইএনটিটিইউসি দার্জিলিং জেলা সভাপতি নির্জল দে শিলিগুড়ির (Siliguri) ত্রিহানা চা-বাগানে ১৯ শতাংশ বোনাসের দাবিতে অনড় থেকে ফ্যাক্টরি থেকে চা পাতা বের করা বন্ধ করে দেন। কাঁচা পাতা, তৈরি চা পাতা চুরি করে বাইরে বিক্রি করেন। ১৯ শতাংশ বোনাসের দাবিকে অজুহাত করে আইএনটিটিইউসির দার্জিলিং জেলা সভাপতি নির্জল দে বাগানে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ম্যানেজারকে নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। গত ৯ নভেম্বর আন্দোলনের নামে ম্যানেজারকে নিগ্রহ করে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়ার পরের দিন বাগান লক আউট করা হয়। তাই সুবিচারের জন্য বাগান মালিক উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

 তৃণমূল নেতার দাদাগিরি নিয়ে কী বললেন বাগান মালিক?

বাগান মালিক ঘনশ্যাম কাঙ্কানি বলেন, আমার বাগানের পাশে বালাসন নদী থেকে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি অবৈধভাবে বোল্ডার উত্তোলন করত। এতে বাগানের উপর প্রভাব পড়ায় জেলাশাসককে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তিনি সেখান থেকে বালি, পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেন। সেই আক্রোশে নির্জল দে বাগানে অশান্তি শুরু করেন। এখন আমার বাগানকে রুগ্ন দেখিয়ে বড় বড় শিল্পপতির হাতে বাগান তুলে দেওয়ার চক্রান্ত দেখতে পাচ্ছি।

চা বাগানের শ্রমিকরা কী বললেন?

এই বাগানে ১২০০ চা শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছেন। শ্রমিকরা তৃণমূলের দাদাগিরিতে তিতিবিরক্ত। তাঁরা বলেন, তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে আমরা চরম সঙ্কটে পড়েছি। এই মালিকের আরও দুটি ডিভিশন রয়েছে। সেখানে কোনও সমস্যা নেই। আমরা কাজ করতে চাই। কিন্তু, তৃণমূল নেতার হুমকিতে করতে পারছি না।

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

তৃণমূল শ্রমিক নেতা নির্জল দে বলেন, বাগান মালিক ২০০৬ সাল থেকে গ্র্যাচুইটি ও ২০১৪ সাল থেকেই প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দিচ্ছেন না। বোনাস দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করেছেন। তবু, এতদিন শ্রমিকরা মুখ বুজে কাজ করেছেন। আসলে এই মালিক দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক বিরোধী কার্যকলাপ করে চলেছেন। বিষয়টি শ্রমমন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে। প্রতিবাদ জানিয়েছি বলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles