Ram Mandir: ১২টি লিফট, ১৪টি চলমান সিঁড়ি! অয্যোধ্যা স্টেশনও হতে চলেছে অন্যতম দর্শনীয় স্থান!

কীভাবে সেজে উঠছে অযোধ্যা স্টেশন, ঘুরে দেখলেন আমাদের প্রতিনিধি শুভ্র চট্টোপাধ্যায়..
Ram_Mandir_(1)
Ram_Mandir_(1)

শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অয্যোধ্যা

২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন হবে। কিন্তু অয্যোধ্যা এখন থেকেই উৎসবের মেজাজে। সোমবার অযোধ্যায় পা রাখার পর যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই এটা ভালোরকম মালুম হচ্ছে। বুধবার সকালে গিয়েছিলাম অযোধ্যা স্টেশনে। বোঝা গেল, শুধু রাম মন্দির নয়, স্টেশনও হতে চলেছে এখানকার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। স্টেশন চত্বরে কথা হচ্ছিল বছর পঞ্চাশের পাপ্পু যাদবের সঙ্গে। ছোট্ট পানের দোকান তাঁর। বললেন, ‘‘লাইনে কাজ চলার কারণে বিগত এক মাস ধরে অযোধ্যায় কোনও ট্রেন ঢুকছে না। তাই বিক্রি নেই বললেই চলে। তবে জানুয়ারিতে ট্রেন চলাচল পুরোদমে চালু হলে বিক্রি অনেকটাই বাড়বে।" এমনই আশায় বুক বেঁধেছেন স্টেশন চত্বরের আরও অনেক দোকানি। সবাই এক নতুন ভোরের আশায় রাতে ঘুমাতে যাচ্ছেন। পেশায় টোটোচালক বছর ছাব্বিশের যুবক রাজকমল যাদব। তাঁর গলায়ও একই আশার কথা। স্টেশন ঘুরে বোঝা গেল, শুধুমাত্র রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরেই বহু খেটে খাওয়া মানুষের রোজগার এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়তে চলেছে।

কেমন হতে চলেছে স্টেশন? (Ram Mandir)

৩ হাজার ২৪০ বর্গমিটারের স্টেশন। মন্দিরের (Ram Mandir) আদলে তৈরি স্টেশনে থাকছে সমস্ত রকমের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। ১২টি লিফট, ১৪টি চলন্ত সিঁড়ি, ২টি ফুট ওভারব্রিজ, আধুনিক ক্যাফেটেরিয়া, রিক্রিয়েশন সেন্টার, পুজোর ডালি কেনার জায়গা, শপিং মল-সমস্ত পরিষেবাই মিলবে পর্যটকদের। মন্দির থেকে অযোধ্যা স্টেশনের দূরত্ব খুব বেশি হলে দেড় কিলোমিটার মতো। নতুন ভাবে নির্মাণকাজ চলছে। আসলে এটি ছিল ফৈজাবাদ ক্যান্টনমেন্ট। এই স্টেশনের নতুন নামকরণ হয় অযোধ্যা জংশন। জানা গেল, পুরনো স্টেশন চত্বরকেও আধুনিক সাজে সাজিয়ে ফেলা হবে। ২৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে এই অযোধ্যা স্টেশন চত্বর।

বিমান বন্দরের উদ্বোধন ৩০ ডিসেম্বর (Ram Mandir)

একইরকম ভাবে তৈরি হচ্ছে অযোধ্যার নতুন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। এখন চলছে ফিনিশিং টাচ। সেখানে পৌঁছাতেই বোঝা গেল এই মুহূর্তে নির্মাণকর্মীদের নাওয়া খাওয়ার সময় নেই। এয়ারপোর্টে ঢোকার রাস্তা সাজিয়ে ফেলা হচ্ছে নিজস্ব স্টাইলে। রাম মন্দিরের আদলে গড়ে উঠছে বিমানবন্দরও। রামমন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের আগে দ্রুত সেই কাজ শেষ করার পথে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ। গেটের সামনেই রয়েছে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ৩০ ডিসেম্বর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিমান বন্দরের পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলও। সব মিলিয়ে রামের ঘরে ফেরাকে কেন্দ্র করে অযোধ্যা জুড়ে যেন চলছে কর্মযজ্ঞ।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles