মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে রয়েছে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ অনুষ্ঠান (Gita Mass Recitation)। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ, সংস্কৃত সংসদ প্রভৃতি সংগঠন। গোটা অনুষ্ঠানকে সফল করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন বিজেপি কর্মীরাও। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দূর-দূরান্তের জেলাগুলি থেকেও মানুষ এসে হাজির হয়েছেন অনুষ্ঠানস্থলে। ব্রিগেড গ্রাউন্ড সমেত স্থানীয় মঠ মন্দিরগুলিতেই থাকছেন তাঁরা। গীতা পাঠের (Gita Mass Recitation) আয়োজকরা আগেই জানিয়েছিলেন যে তাঁদের এই অনুষ্ঠান ধর্মমত নির্বিশেষে হবে। গীতা মানুষকে জীবন বোধ শেখায় এই মর্মে প্রচার শুরু হয়। তাই গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে দেখা যাবে মুসলিম সম্প্রদায়েরও অনেক মানুষকে। যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে সামনে এসেছে ইমান আলি শেখ এবং ফরজ লস্করদের নামও।
গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে ইমান আলি
এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে ইমান আলি বলেন, ‘‘এই অনুষ্ঠানে (Gita Mass Recitation) অংশ নিতে গেলে যে সেই ধর্মের হতেই হবে এমন তো নয়। যার ভাল লাগবে সেই যাবে। যার ভাল লাগবে সেই শুনবে। আমরা জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সব জায়গায় যেতে ভালবাসি। আপনার ধর্ম আমি কেড়ে নেব না, আমার ধর্ম আপনি কেড়ে নেবেন না। আমার ভাল লাগে, তাই আমি যাব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পুরাণ ও কোরান হিসেব করলে একই কথা বলে। তাই কোনও ধর্মে হস্তক্ষেপে বিশ্বাসী নন তাঁরা। হিন্দুদের যেমন হরিনাম, তেমন আমাদের জলসা, মিলাত। তাই ধর্মকে কাঁটাতার হিসেবে মনে করেন না তাঁরা। বরং আদান-প্রদানেই বিশ্বাসী।’’
কী বলছেন আয়োজকরা?
লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ (Gita Mass Recitation) অনুষ্ঠানের সহ সভাপতি নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারীও বললেন, ‘‘এটা তো সনাতন ধর্মের কথা। এখানে সবাই স্বাগত। রবিবার ব্রিগেডে তৈরি হবে সর্ব-ধর্ম সমন্বয়ের আরও এক জ্বল জ্বল করা উদাহরণ।’’ প্রসঙ্গত, এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাজির থাকার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল হয়। তাই দুটির বদলে আপাতত একটি মঞ্চ বাঁধার কাজ চলছে । দক্ষিণবঙ্গ থেকে ১০টি ট্রেন যাবে কলকাতার উদ্দেশে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours