মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই রাজ্যসভায় পাশ হল 'পোস্ট অফিস বিল ২০২৩' (Post Office Bill)। ১২৫ বছরের পুরনো 'ইন্ডিয়ান পোস্ট অফিস অ্যাক্ট' এদিন বাতিল করা হয়েছে। সারা দেশ জুড়ে ডাক বিভাগের পরিষেবা আরও সরল করার উদ্দেশ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। নয়া বিলের মাধ্যমে ডাক পরিষেবার আমূল সংস্কার হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই বিলের (Post Office Bill) মাধ্যমে পোস্ট অফিসের হাতে আগের থেকে অনেক বেশি ক্ষমতা গেল।
সন্দেহজনক পার্সেল খুলে দেখতে পারবেন ডাক-কর্মীরা
মোদি সরকারের আনা নতুন পোস্ট অফিস বিলের ৯ নম্বর ধারায় স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে ডাকঘরের কর্মীরা যে কোনও পার্সেল (Post Office Bill) সন্দেহজনক মনে করলে আটক করতে পারবেন। দেশের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক, আইন-শৃঙ্খলা, জরুরি অবস্থা ইত্যাদি ইস্যুতে পোস্ট অফিস এখন যে কোনও চিঠিও খুলে দেখতে পারবে। কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের মতে, ‘‘এখনকার সময় ও পরিস্থিতি যে রকম কঠিন হয়ে উঠেছে, তাতে এই ধরনের নজরদারি জরুরি। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’’
বাদল অধিবেশনেই পেশ করা হয় এই বিল
প্রসঙ্গত, এই বিল রাজ্যসভায় পাঠানো হয়েছিল গত বাদল অধিবেশনেই। চলতি শীতকালীন অধিবেশনে তা পাশ হল। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে পোস্ট অফিসের কাজ শুধুমাত্র যেন ডেলিভারি দেওয়াতেই সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার কারণ বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ চিঠি সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে ই-মেল মাধ্যমেই চলে আসে। ই-মেলের মাধ্যমে চিঠি দ্রুততার সঙ্গেই পাঠানো যায়। সময় ও খরচ দুটোই বাঁচে। পরবর্তীকালে হোয়াটসঅ্য়াপ চলে আসার পরে গুরুত্বপূর্ণ অফিসিয়াল নথি আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে তা ব্যবহৃত হতে থাকে। টাকা ডিপোজিট করার ক্ষেত্রেই এখন পোস্ট অফিসের কাজ বেশি দেখা যায়। মাঝখানে পোস্ট অফিসের (Post Office Bill) মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গঙ্গাজল পৌঁছে দেওয়ারও উদ্যোগ নেয় কেন্দ্র। পোস্ট অফিসগুলিকে ফের ভালোভাবে সক্রিয় করতে উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে মোদি সরকারকে। সোমবার রাজ্যসভায় অশ্বিনী বৈষ্ণব পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকে তোপ দেগে বলেন, ‘‘কংগ্রেস আমলে পোস্ট অফিস একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছিল।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours