Hooghly: বাঁশবেড়িয়ায় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাক্ষ্য বহন করে চলেছে হংসেশ্বরী মন্দির

কীসের আকর্ষণে মানুষ ছুটে যান হুগলির বাঁশবেড়িয়ায়?
Hooghly
Hooghly

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার একদম কাছেই রয়েছে কত সুন্দর বেড়ানোর জায়গা, যার খবর আমরা অনেকেই রাখি না। এই যেমন বাঁশবেড়িয়া (Hooghly)। ব্যান্ডেল থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে এক কালের বন্দর নগরী "সপ্তগ্রাম" বর্তমানে পরিচিত "বাঁশবেড়িয়া" নামে। এক কালে এখান দিয়েই বয়ে যেত হুগলি বা গঙ্গা, কুন্তী এবং সরস্বতী নদী। প্রায় ৫০০ বছরেরও বেশি সময় আগে কুন্তী নদী এবং ৮০০ বছরেরও বেশি সময় আগে সরস্বতী নদীর জল শুকিয়ে যাওয়ার ফলে লুপ্ত হয়ে যায় সেই বন্দর। কিন্তু বন্দর হারিয়ে গেলেও এখানকার অনন্তবাসুদেব মন্দির এবং হংসেশ্বরী মন্দির দুটি আজও দাঁড়িয়ে আছে সেদিনের সেই ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাক্ষ্য বহন করে। আজও এই দুটি মন্দিরের আকর্ষণে মানুষ ছুটে আসেন এই বাঁশবেড়িয়ায়।

অনিন্দ্যসুন্দর পোড়ামাটির কাজ (Hooghly)

এখানকার অনন্তবাসুদেব মন্দিরটি (Hooghly) নির্মাণ করেন রাজা রামেশ্বর দত্ত। তিনি ১৬৭৯ খ্রিষ্টাব্দে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। অষ্টকোণা শিখর, মন্দিরগাত্রের শিল্প, পোড়ামাটির শিল্পশৈলীতে তৈরি অলংকরণ রীতিমতো দর্শনীয়। গর্ভগৃহে খোদাই করা হয়েছে বাসুদেব, অর্থাৎ বিষ্ণুমূর্তি। তার চারপাশের ঘরগুলোতে রয়েছে শিবলিঙ্গ। এর ঠিক পাশেই বাঁশবেড়িয়ার বিখ্যাত হংসেশ্বরী মন্দির। রাজবাড়ির প্রাঙ্গনে এই মন্দিরের অবস্থান। ১৮০১-এ এই সুন্দর মন্দিরটির নির্মাণকার্য শুরু করেন বাঁশবেড়িয়ার রাজা নৃসিংহদেব। কিন্তু এই নির্মাণের কাজ শেষ করেন ১৮১৪ সালে রানী শংকরী। তিনি প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করে মন্দিরটি নির্মাণ করেন। এর জন্য পাথর আনা হয়েছে চূনার থেকে। কারিগর আনা হয়েছে জয়পুর থেকে। এখানে রয়েছে অনিন্দ্যসুন্দর কিছু পোড়ামাটির কাজও। প্রায় ২১ মিটার উঁচু এই মন্দিরের চুড়োটিতে রয়েছে ১৩ টি মিনার। দেখে মনে হয় যেন একটি পদ্মফুল। মন্দিরের নির্মাণশৈলীর অভিনবত্ব এবং সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো। মন্দিরের অভ্যন্তরে রয়েছে পাথরের তৈরি শিবের নাভি থেকে বেরিয়ে আসা ডাঁটার ওপর পদ্মফুল। সেই পদ্মফুলের ওপর বসে আছেন মা দক্ষিণাকালীর বীজ দেবি হংসেশ্বরী। নিমকাঠের তৈরি দেবীর মূর্তিটি চতুর্ভূজাে। কালীপুজোর দিন দেবীকে সোনার জিহ্বা এবং রূপোর কিরীটে সজ্জিত করা হয়।

কীভাবে যাবেন? (Hooghly)

হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল লোকালে গিয়ে নামতে হবে ব্যান্ডেল স্টেশনে (Hooghly)। সেখান থেকে টোটো বা রিকশায় যাওয়া যায় হংসেশ্বরী মন্দিরে। আবার ষ্টেশন থেকে বাস অথবা অটোতেও যাওয়া যায় এই মন্দিরে। আর গাড়িতে গেলে জি টি রোড বা দিল্লি রোড ধরে ঈশ্বর গুপ্ত সেতুতে না উঠে পাশের ডান দিকের রাস্তা ধরে সরাসরি চলে যাওয়া যায় হংসেশ্বরী মন্দিরে। কলকাতা থেকে সকালে বেরিয়ে সারাদিন এই মন্দির ঘুরে আবার সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরে আসা যায় কলকাতায়।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles