মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির মদের কারখানায় (Liquor factory) চলছে আয়কর হানা। চারদিক ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কড়া নিরপত্তায় চলছে তল্লাশি অভিযান। মঙ্গলবার ভোরবেলা থেকেই চলছে এই অভিযান। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর সময়ে রাজ্যে মদের বিক্রি প্রচুর পরিমাণে হয়েছে। এই বছর ঝাড়গ্রামে পুজোর পাঁচ দিনে মোট ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এটা বাকি জেলার তুলনায় সবথেকে বেশি। এই বছর আবগারি দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এক কোটির বেশি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে রাজ্যে। ফলে রাজ্যে এত টাকার মদ বিক্রি সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। ইতিমধ্যে মদের কারখানায় আয়কর দফতরের হানায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
হুগলির কোন মদের কারখানায় হানা (Liquor factory)?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির অ্যালপাইন ডিস্টিলারিস প্রাইভেট লিমিটেড কারখানায় (Liquor factory) চলছে তল্লাশি। মোট পাঁচটি গাড়িতে করে আয়কর দফতরের অফিসাররা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হানা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই কারখানা পোলবা থানার অন্তর্গত মহানাদ গ্রামে অবস্থিত। এই কারখানার মূল মালিক দিল্লির একটি সংস্থা। এখানকার ডিরেক্টরের নাম দেবরাজ মুখোপাধ্যায়। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এখানে বিশেষ ব্র্যান্ডের ‘রাম’ ওল্ড মঙ্ক বোতলজাতের কাজ করা হয়। এছাড়াও এখানে প্রচুর ইথানল উৎপাদন করা হয়। মদ উৎপাদনের জন্য এই কাঁচামাল ইথানল একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান।
কারখানার কর্মীর বক্তব্য
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই মদের কারখানায় (Liquor factory) পুরুষের তুলনায় মহিলারা বেশি কাজ করেন। কারখানায় মোট শ্রমিক কাজ করেন ৩০০ জন। আয়কর দফতর মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪ টা থেকেই হানা দেওয়ায় এখনও পর্যন্ত কাজ বন্ধ রয়েছে। কাজে গেলে শ্রমিকদের কাজ করতে বাধা দেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। কারখানার কর্মী মঞ্জু বাউল দাস বলেন, “সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যে ৬ টা পর্যন্ত আমাদের কাজ করতে হয়। সকালে কাজে এলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। একবার ভিতরে গেলে আর বাইরে যাওয়া যাবে না বলে জনিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই আর ঢুকিনি।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours