Dakshin Dinajpur: ব্রিজ হয়েছে, পাকা রাস্তা নেই! প্রশাসনের খামখেয়ালিপনার মাসুল গুনছে আমজনতা

২০০৮ সালে নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়িত হল না আজও! এটাই কি 'উন্নততর তৃণমূল'?
Dakshin_Dinajpur
Dakshin_Dinajpur

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনিক উদ্যোগের পরেও ১৫ বছর ধরে রাস্তা পায়নি ডাঙা ও জঙ্গলপুরের মানুষ (Dakshin Dinajpur)। ফলে বালুরঘাট শহর এড়িয়ে ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আসার সুযোগ পাচ্ছেন না পূর্বদিকের গ্রামগুলির মানুষজন। তাঁদের শহর হয়ে ঘুরে আসতে হচ্ছে। এমনকি বালুরঘাট সদর হাসপাতাল ওই গ্রামগুলির খুবই কাছে হলেও শহর এড়িয়ে রোগী নিয়ে সেখানে যাওয়া যায় না। ২০০৮ সালের ৫ এপ্রিল তৎকালীন বাম পরিচালিত জেলা পরিষদের উদ্যোগে জঙ্গলপুর থেকে ডাঙা পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ তৈরি করতে ভাঙা খাঁড়ির উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল জঙ্গলপুর, হাতিশালা, এক মাইল ও মালঞ্চার উত্তরদিকের গ্রামগুলির সঙ্গে রঘুনাথপুর হয়ে বালুরঘাটের সঙ্গমে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ানো। ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে ২০০৮ সালে। তার উদ্বোধনও হয়েছে। মানুষ তার উপর দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু পাকা রাস্তা না থাকায় কোনও যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ব্রিজ উদ্বোধনের পর অ্যাপ্রোচ রাস্তায় ইট বিছানো হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সেসব উঠে চলাচলের অযোগ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত হেঁটে যাতায়াত করতে হয়। সাইকেল বা মোটরবাইক অনেক কষ্টে নিয়ে যাওয়া গেলেও টোটো সহ কোনও যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে যোগ্য নয় রাস্তাটি।

একে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপাতে ব্যস্ত (Dakshin Dinajpur)

ভাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে দিয়ে বালুরঘাট শহর দিয়ে ডাঙা খাঁড়ি প্রবাহিত হয়ে গিয়ে মিশেছে আত্রেয়ী নদীতে। একদিকে জঙ্গলপুর, অন্যদিকে ডাঙা ফরেস্ট। এই দুইয়ের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া খাঁড়ির উপরেই ব্রিজ নির্মাণ করেছিল তৎকালীন জেলা পরিষদ। প্রস্তাব ছিল তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার। কিন্তু সেই প্রস্তাব আর বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে স্কুল-কলেজ কিংবা বাজারে যাতায়াতে সমস্যা হয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যা অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে। আশ্বাস মিলেছে বারবার। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও রাস্তা হয়নি (Dakshin Dinajpur)। পঞ্চায়েত দায় ঠেলেছে জেলা পরিষদের ঘাড়ে, জেলা পরিষদ রাজ্যকে দেখিয়েই দায়িত্ব সেরেছে।।

কী বলছেন ভুক্তভোগীরা? (Dakshin Dinajpur)

এক টোটোচালক কালু দাস বলেন, 'বালুরঘাটের রঘুনাথপুর এলাকা থেকে ফরেস্ট রোড হয়ে জঙ্গলপুর পর্যন্ত রাস্তাটিতে দীর্ঘ বছর ধরে ইট পড়েনি। অথচ এই রাস্তাটি পাকা করা হলে খুব সহজে জঙ্গলপুর সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষদের বিডিও অফিস, হাসপাতাল ও পঞ্চায়েত অফিসগুলিতে যাতাযাত করা সুবিধে হত। গ্রামবাসী শুটকু পাহান বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলি বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও রাস্তাটির কাজ কেউ করে না। আমরা অনেকবার ভোট বয়কটের ডাকও দিয়েছি। কিন্তু বয়কট করার আগেই নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আন্দোলন থেকে মানুষকে সরিয়ে দেয়। রাস্তা আর হয় না।' উজ্জ্বল দাস নামে গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, 'আমাদের বাড়ি থেকে দশতলা হাসপাতাল দেখা যায়।  সেখানে যেতে আমাদের বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) হয়ে ঘুরে আসতে হয়। শুধুমাত্র রাস্তার এমন বেহাল দশায় আমাদের বছরের পর বছর ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।"

কী বলছেন প্রশাসনিক কর্তারা? (Dakshin Dinajpur)

এনিয়ে জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অম্বরীশ সরকার বলেন, 'মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে, তাদের জন্য কাজ করার উদ্দেশ্যেই চেয়ারে বসা। ২০০৮ সালের নেওয়া প্রকল্প কেন বাস্তবায়িত হল না তার খোঁজখবর নেব (Dakshin Dinajpur)। স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্যের সঙ্গে কথা বলে যত দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যায় তার চেষ্টাও করব।'

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles